Lok Sabha Seat Delimitation

‘খাঁড়া নামবে দাক্ষিণাত্যের উপর’! লোকসভায় আসন পুনর্বিন্যাসের বিরুদ্ধে সরব স্ট্যালিন

২০২৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার আসন পুনর্বিন্যাস করে লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারে বলে বিরোধীরা আশঙ্কা করছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:২৩
এমকে স্ট্যালিন।

এমকে স্ট্যালিন। —ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রের ‘হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার নীতি’র বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন আগেই। এ বার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনের নিশানায় লোকসভার ‘সম্ভাব্য আসন্ন পুনর্বিন্যাস’।

Advertisement

মঙ্গলবার চেন্নাইয়ে একটি কর্মসূচিতে স্ট্যালিন অভিযোগ করেন, যে পদ্ধতিতে আসন পুনর্বিন্যাসের চেষ্টা হচ্ছে তাতে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির উপর খাঁড়ার ঘা নেমে আসবে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ সংগঠিত করতে আগামী ৫ মার্চ সর্বদল বৈঠক ডাকলেন তিনি। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের ‘হিন্দি নীতি’ প্রসঙ্গে স্ট্যালিন বলেন, ‘‘তিন ভাষা নীতি চাপিয়ে দিয়ে কেন্দ্র গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করছে। আমরা দু’ভাষা নীতির (ইংরেজি ও তামিল) পক্ষে এবং হিন্দি আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।’’

২০২৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার আসন পুনর্বিন্যাস করে লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারে বলে বিরোধীরা আশঙ্কা করছে। জনসংখ্যা অনুযায়ী লোকসভায় সাংসদসংখ্যাও বৃদ্ধি হওয়ার কথা। তা হলে হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলি থেকে লোকসভার আসনসংখ্যা অনেকটা বাড়বে। তুলনায় দক্ষিণের রাজ্যগুলির সাংসদসংখ্যা তেমন বাড়বে না। ফলে গোটা প্রক্রিয়ায় বিজেপির লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা।

সংবিধান অনুসারে, জনসংখ্যা অনুযায়ীই সাংসদসংখ্যা ঠিক হওয়া উচিত। সাধারণ ভাবে, প্রতি ১০ লক্ষ ভোটার পিছু একটি করে লোকসভা আসন বরাদ্দের নীতি মেনে চলা হয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ৯৬ কোটির বেশি ভোটার ছিলেন। সেই হিসাবে লোকসভায় প্রায় ৯৬০ জন সাংসদ থাকার কথা। এখন লোকসভায় আসনসংখ্যা ৫৪৩ জন। যদিও নতুন সংসদ ভবনে প্রায় ৯০০ আসনের লোকসভা কক্ষ তৈরি হয়েছে। আসন পুনর্বিন্যাসে প্রতি ১০ লক্ষ ভোটারের জন্য এক জন সাংসদের নীতি বজায় রাখতে হলে, লোকসভা কেন্দ্রের সীমানা বদলাতে হবে। কিন্তু বিরোধীদের আশঙ্কা বিজেপির সুবিধামতো পুনর্বিন্যাস হবে আসনের।

Advertisement
আরও পড়ুন