বাঁদিকে নরেন্দ্র মোদী, ডান দিকে নীতীশ কুমার। ছবি: পিটিআই।
বিহারে বিধানসভা ভোটের প্রচার অঘোষিত ভাবে শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার ভাগলপুরে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধন এবং প্রধানমন্ত্রী কিসান যোজনার ১৯তম কিস্তির টাকা বিলির কর্মসূচিতে বিহারের উন্নয়নে তাঁর সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরলেন তিনি।
এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেটে বিহারে মাখনাচাষিদের উন্নয়নের জন্য বিশেষ বোর্ড গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পাশাপাশি, বাজেট বক্তৃতায় বিহারে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজি’ গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। মোদী সোমবার মাখনাবীজকে ‘সুপারফুড’ চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক বাজারে তা বিপণনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, প্রাতরাশের মেনুতে মাখনার চাহিদা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘আমি বছরে ৩০০ দিন তো এই বীজ খাই।’’
প্রসঙ্গত, বিহারে দেশের ৮০ শতাংশ মাখনা উৎপাদন হয়। যদিও পরিবেশবিদদের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন, জলাভূমিগুলিতে মাখনাচাষের ফলে জীববৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা মধুবনী প্রিন্টের শাড়ি পরে পটনা বিমানবন্দরের উন্নতির জন্য বরাদ্দ ঘোষণাও করেছিলেন। মগধভূমের শিল্প ও পরিষেবা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য চারটি নতুন গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর এবং বিহতায় একটি ব্রাউনফিল্ড বিমানবন্দর নির্মাণের কথাও বাজেট বক্তৃতায় জানান তিনি। সেই সঙ্গে পটনা আইআইটির পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থবরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ভাগলপুরের জনসভায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উপস্থিতিতে কেন্দ্রের সেই দরাজ সাহায্যের কথা ঘুরেফিরে আসে মোদীর বক্তৃতায়। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, দেশের মোট ৯.৭ কোটি কৃষক সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা সোমবার পেয়েছেন বিহারে মোদীর কর্মসূচি থেকে। রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশনের আওতায় মোতিহারিতে ‘সেন্টার ফর এক্সেলেন্স ফর ইন্ডিজেনাস ব্রিডস’-এর উদ্বোধন এবং বারাউনিতে দুধ উৎপাদন প্রকল্পের সূচনাও করেছেন। উদ্বোধন করেছেন কয়েকটি রেল প্রকল্পের। পাশাপাশি, নাম না করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে মহাকুম্ভ মেলাকে অপমান করারও অভিযোগ তোলেন তিনি।