ভোপালে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে শিবরাজ সিংহ চৌহান। ছবি: পিটিআই।
রাজধানী ভোপালে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির দফতরে দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন তিন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক— হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, রাজ্যসভা সাংসদ কে লক্ষ্মণ এবং ঝাড়খণ্ডের রাঁচীর মেয়র তথা দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য আশা লাকড়া।
বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিধায়কদের সঙ্গে ওই বৈঠকের শেষে সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। জল্পনা রয়েছে, বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানকে সরিয়ে এ বার ভোপালের কুর্সিতে নতুন মুখ আনতে পারে বিজেপি। জল্পনায় সদ্য বিধানসভা ভোটে জয়ী দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর, প্রহ্লাদ পটেল এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নাম রয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডে, দলের রাজ্য সভাপতি বিষ্ণুদত্ত শর্মার নামও রয়েছে আলোচনায়। মুখ্যমন্ত্রী পদে বদলের জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজের দফতরের তরফে সমাজমাধ্যম করা একটি পোস্ট। তাঁর হাতজোড় করা একটি ছবির তলায় লেখা, ‘সকলকে রাম-রাম’! যা শিবরাজের বিদায়বার্তা বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। সোমবার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের আগে আলাদা ভাবে শিবরাজের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন খট্টরেরা।
এ বারের বিধানসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১৬৩টি আসন। গত বারের চেয়ে ৫৪টি বেশি। মোট ভোটের প্রায় ৪৯ শতাংশ। যা ২০০৩ সালের চেয়ে প্রায় পাঁচ শতাংশ বেশি। অন্য দিকে, ৬৬টি আসনে জেতা কংগ্রেস ভোট পেয়েছে প্রায় ৪১ শতাংশের কাছাকাছি। আট শতাংশের ওই ভোটের পার্থক্যে কংগ্রেসের চেয়ে ৯৭টি আসন বেশি জিতেছে বিজেপি।