সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে বিবাহবিচ্ছেদে দ্রুত সায় দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
এত দিন বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করলে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হত আবেদনকারীকে। এ বার ‘বাধ্যতামূলক’ সেই সময়সীমা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিশেষ একটি পরিস্থিতিতে সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে বিবাহবিচ্ছেদে দ্রুত সায় দিতে পারে তারা।
বিশেষ পরিস্থিতিটির ব্যাখ্যায় সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল, সঞ্জীব খন্না, এএস ওকা, বিক্রম নাথ এবং জেকে মাহেশ্বরীর পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানায়, কোনও ভেঙে যাওয়া বৈবাহিক সম্পর্ক যদি আর কোনও ভাবেই মেরামত করা সম্ভব না হয়, তবেই এই বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করবে আদালত। আদালত এই বিশেষ অবস্থাকে এক কথায় বলছে, ‘পুনরুদ্ধারের অসাধ্য বৈবাহিক সম্পর্ক’। বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানের দায়িত্ব কে নেবেন, সম্পত্তির ভাগ কে পাবেন, এ সব কিছু খতিয়ে দেখে আদালতই ঠিক করবে বিবাহবিচ্ছেদের আর্জিটির দ্রুত মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন কিনা।
এত কাল অবধি হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি ধারা অনুসারে কোনও ব্যক্তি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করলে তা মঞ্জুর হতে ৬ মাস সময় লাগত। পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়া হলেও বাধ্যতামূলক ভাবে ওই সময়সীমা মেনে চলতে হত। সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনও বিচারাধীন বিষয়ের ‘সম্পূর্ণ আইনি নিষ্পত্তি’র জন্য সুপ্রিম কোর্ট তার বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করে নির্দেশনামা জারি করতে পারে কিংবা রায় দিতে পারে।