তরুণজ্যোতির দাবি, গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে অপরূপার। ফাইল চিত্র ।
হুগলির আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারে লেটার হেডে গ্রুপ সি নিয়োগে চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়েছে! তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এবং সিবিআই তদন্ত চেয়ে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন।
তরুণজ্যোতির দাবি, গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে অপরূপার। গ্রুপ সি নিয়োগের সময় তাঁর লেটারহেডে নাকি অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরির সুপারিশ করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই উচ্চ আদালতে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তরুণজ্যোতি। বুধবার সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে অপরূপা বলেন, ‘‘আগামী বুধবার হাই কোর্টে শুনানি হবে।হাই কোর্ট ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা আছে।’’
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে তাঁকে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তরুণজ্যোতিকে মানহানির নোটিস পাঠান অপরূপা। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে শ্রীরামপুর থানায় একটি অভিযোগও করেন তৃণমূল সাংসদ। অপরূপার সেই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করেছে বিজেপি।
অপরূপার অভিযোগ ছিল, সমাজমাধ্যমে তাঁর নামে ভুয়ো চিঠি ছড়িয়ে তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছেন শুভেন্দু এবং তরুণজ্যোতি। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, অপরূপা নাকি নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত। এই চিঠির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপির দুই নেতাকে মানহানির নোটিস পাঠান অপরূপা। শুভেন্দু এবং তরুণজ্যোতি অবিলম্বে ক্ষমা না চাইলে আদালতে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন অপরূপার আইনজীবী।
তবে সেই মানহানির নোটিস প্রসঙ্গে তরুণজ্যোতি বলেছিলেন, ‘‘আফরিন আলি ম্যাডাম, আপনার নোটিস পেলে উত্তর নিশ্চয়ই দেব। তার আগে তৈরি হন সিবিআইকে উত্তর দেওয়ার জন্য। আর সংস্কৃতির কথা আপনার অথবা আপনার পরিবারের কারও মুখে মানায় না। আপনার স্বামীর সেই বিখ্যাত ভিডিওটা এখনও সংবাদমাধ্যমে খুঁজলেই পাওয়া যাবে। নারদ নিয়ে না হয় নতুন করে না-ই বা বললাম।’’
সেই আবহেই অপরূপার বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে এবং সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি।