কর্নাটকে ওবিসি মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ আপাতত বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটের ঠিক আগেই ওবিসি মুসলিমদের ৪ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করেছিল কর্নাটকের বিজেপি সরকার। কিন্তু মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্ত কার্যকরের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিচারপতি বিভি নাগারথনাকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের নির্দেশ আগামী ৯ মে পর্যন্ত ওবিসি মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যাবে না।
গত ১৩ এপ্রিল এই মামলার শুনানিতে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসর মুসলিমদের সুবিধা পাওয়ার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার সমালোচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছিল, ‘‘প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বলা যায়, একেবারে ভুল ধারণার ভিত্তিতে কর্নাটক সরকার মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ ৪ শতাংশ কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’
কর্নাটক সরকারের আইনজীবী তথা দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান, সমলিঙ্গে বিবাহ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে তিনি ব্যস্ত থাকায় মুসলিম সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই দুই বিচারপতির বেঞ্চ শুনানি পিছিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।
ওবিসি মুসলিমদের ৪ শতাংশ কোটা বাতিল করে সে রাজ্যের দুই প্রভাবশালী গোষ্ঠী লিঙ্গায়েত এবং ভোক্কালিগাদের জন্য ২ শতাংশ করে সংরক্ষণ বরাদ্দ করার যে সিদ্ধান্ত বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সরকার ঘোষণা করেছিল, সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল), পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত তা স্থগিত রাখতেও বলেছিল। সেই স্থগিতাদেশের সময়সীমা এ বার ৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হল।
মুসলিম সংরক্ষণ বাতিলকে হাতিয়ার করে কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ‘মেরুকরণের তাস’ খেলছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। গত সপ্তাহে কর্নাটকের ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে মুসলিমদের সংরক্ষণের সুবিধা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কংগ্রেসের ভুল শুধরে নিয়েছি।’’ যদিও ইতিহাস বলছে, ওবিসি মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। তৎকালীন জনতা দলের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার আমলে।