Ratan Tata

আট বছর পর, রাডিয়া টেপ ফাঁস হওয়া নিয়ে রতন টাটার আর্জির প্রেক্ষিতে শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে

একটি কর সংক্রান্ত তদন্তের অঙ্গ হিসাবে নীরার সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তির টেলিফোন কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছিল। রতন টাটার অভিযোগ ছিল, সেই রেকর্ডিং ফাঁস করে দেওয়া তাঁর গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:১৫
নীরা রাডিয়া (বাঁ দিকে) এবং রতন টাটা (ডান দিকে)।

নীরা রাডিয়া (বাঁ দিকে) এবং রতন টাটা (ডান দিকে)। ফাইল ছবি।

কর্পোরেট লবিস্ট নীরা রাডিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত ২০১০-এর অডিয়ো টেপ ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে তদন্তের দাবিতে রতন টাটার আবেদনের শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট। আট বছর পর এই মামলার শুনানি হবে। রতন টাটার দাবি ছিল, টেপ ফাঁস হওয়ার জেরে তাঁর গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

২০১১-য় রতন আদালতে এ বিষয়ে শুনানির আবেদন জানান। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি শেষ বার শোনা হয়েছিল ২০১৪-য়। তার পর আট বছর পর আবার সেই মামলাটির শুনানি চলবে সুপ্রিম কোর্টে।

Advertisement

এক দশক আগে নীরার দেশের শিল্পপতি, সাংবাদিক, সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথন একটি কর সংক্রান্ত তদন্তের অংশ হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০১২-এর অগস্টে রতন টাটা সুপ্রিম কোর্টে সরকারের তরফে জমা দেওয়া রিপোর্টের একটি প্রতিলিপি চেয়েছিলেন। যেখানে বলা হয়েছিল কী ভাবে ফোনে কথোপকথন ফাঁস করা হয়েছিল। এ নিয়ে বিবাদের জেরে ‘রাডিয়া টেপ’ আলোচনার কেন্দ্রে জায়গা করে নেয়।

২০১০-এ নীরার সঙ্গে রতনের টেলিফোনে কথোপকথন সংবাদমাধ্যমে জায়গা করে নেয়। এর পর এ বিষয়ে রতন সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর আবেদন ছিল, এই ধরনের টেপ প্রকাশ করে দেওয়ায় তাঁর গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

২০১৭-এর অগস্টে এ বিষয়ে ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে শীর্ষ আদালত বলে, গোপনীয়তা ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার। ন’জন বিচারপতি সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় দিয়েছিল। যদিও তা ছিল সরকারের কাছে মস্ত বড় একটি ধাক্কা। সরকারের তরফে যুক্তি ছিল যে, সংবিধান ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে অবিচ্ছেদ্য মৌলিক অধিকার হিসাবে মান্য করে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement