Arvind Kejriwal

কেজরীবালের বাজিমাত, বিজেপিকে রুখে দিল্লি বিধানসভায় আস্থাভোটে জয়ী আপ

৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় আস্থাভোটে আপের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন ৫৮ জন বিধায়ক। কেজরীর দলের বিধায়ক সংখ্যা ৬২। বিজেপির বিরুদ্ধে দলের বিধায়কদের ভাঙানোর অভিযোগ করেছিলেন কেজরী।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:২১
আপের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন ৫৮ জন।

আপের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন ৫৮ জন। ছবি পিটিআই।

বিজেপির বিরুদ্ধে যাবতীয় ‘চক্রান্তে’র অভিযোগের মধ্যেই দিল্লি বিধানসভায় শক্তি প্রদর্শনে সফল হলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। আস্থাভোটে জয়ী হল কেজরীবালের আম আদমি পার্টি (আপ)। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় আস্থাভোটে আপের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন ৫৮ জন বিধায়ক। কেজরীর দলের বিধায়ক সংখ্যা ৬২। বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছেন আট জন।

সম্প্রতি বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর দলে ভাঙন ধরানোর অভিযোগ করে দিল্লি রাজনীতিতে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন কেজরীরা। তাঁর সরকারকে ভাঙার জন্য বিজেপি প্রায় ৮০০ কোটি টাকা নিয়ে নেমেছিল বলে অভিযোগ করেছেন আপ প্রধান। কেজরীবালের দাবি, দিল্লিতে ‘অপারেশন লোটাস’ ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর এক জন বিধায়ককেও বিজেপি তাদের শিবিরে নিতে পারেননি বলেও দাবি করেন তিনি। দলের বিধায়করা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। এটা প্রমাণ করতেই বিধানসভায় আস্থাভোটের ডাক দেন।

Advertisement

আস্থাভোটের প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর বিজেপিকে নিশানা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘দিল্লিতে এক জন আপ বিধায়ককে কিনতেও ব্যর্থ হয়েছে ওরা (বিজেপি)। আমাদের ৬২ জন বিধায়ক রয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন দেশের বাইরে। এক জন জেলে রয়েছেন।’’

সম্প্রতি দিল্লিতে আবগারি নীতিতে অনিয়মের অভিযোগে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার বাড়িতে প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। এ নিয়ে আপ বনাম বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে রাজধানীতে। এই তপ্ত আবহের মধ্যেই গত মঙ্গলবার সিসৌদিয়ার লকার খতিয়ে দেখতে গাজিয়াবাদে একটি ব্যাঙ্কে হানা দেন তদন্তকারীরা। যদিও কিছু পাওয়া যায়নি বলে খবর।

এই ঘটনাপ্রবাহের মধ্যেই কেজরীর মন্ত্রী দাবি করেন যে, আপ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে বিজেপি। তাঁকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে টুইটারে লিখেছিলেন, ‘আমার কাছে বিজেপির বার্তা এসেছে— আপ ভেঙে বিজেপিতে যোগ দিন, সিবিআই-ইডির সব মামলা বন্ধ করে দেওয়া হবে! বিজেপিকে আমার জবাব— আমি মহারানা প্রতাপের বংশধর, আমি রাজপুত। মাথা কেটে ফেলব কিন্তু দুর্নীতিবাজ, ষড়যন্ত্রকারীদের সামনে মাথা নত করব না। আমার বিরুদ্ধে সব মামলা মিথ্যা, যা খুশি করতে পারেন।’ এর পর কেজরীও বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ জানিয়ে সরব হন। তার পরই আস্থাভোটের ডাক দেন।

যদিও বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, আবগারি নীতিতে দুর্নীতির ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই বিধানসভায় ‘নাটক’ করছে আপ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement