দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের আটক করছে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) পর এ বার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। বিবিসি-র তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এর প্রদর্শন ঘিরে আবার অশান্তি দেশের রাজধানীতে। পড়ুয়াদের একাংশের তরফে ২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং সে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রের প্রদর্শন শুরু হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে দিল্লি পুলিশ হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
শুক্রবার বিকেল ৪টের সময় তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ঘোষণা করেছিল দলিত ছাত্র সংগঠন ভীম আর্মি স্টুডেন্টস ফেডারেশন। কিন্তু আর্টস ফ্যাকাল্টির ভিতর প্রদর্শন শুরুর আগেই পুলিশের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ক্যাম্পাসের বাইরে। গেটের বাইরে ছাত্রদের জমায়েত সরাতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করে বলেও অভিযোগ। অভিযোগ, এর পর ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েক জন পড়ুয়াকে আটক করে বলে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দিল্লির জেএনইউ ক্যাম্পাসেও ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এর প্রদর্শন ঘিরে অশান্তি হয়েছিল। প্রসঙ্গত, দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি।
যদিও বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি। এই পরিস্থিতিতে রবিবার কেন্দ্রের তরফে ইউটিউব এবং টুইটারকে বিবিসি-র তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সমাজমাধ্যম থেকে তুলে নিতে নির্দেশ জারি করেছিল। পাশাপাশি, আইটি রুলস ২০২১-এর জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫০টির মতো টুইট তুলে নেওয়ার জন্যও কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলের নেতারা একে ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন।