Bank Manager

পার্টি করতে গিয়ে ফেরেননি ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, খাল থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ, আটক ছয় চিকিৎসক-বন্ধু

পুলিশ জানিয়েছে, সিমরনদীপ সিংহ ব্রার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মুক্তসারের লাখেওয়ালি গ্রামের শাখার ম্যানেজার ছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে গিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৪৮

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

চিকিৎসক বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি রাষ্ট্রায়ত্ত এক ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। পরে পঞ্জাবের মুক্তসারের খাল থেকে উদ্ধার হয় তাঁর গাড়ি। সেই গাড়ির ভিতরেই ছিল তাঁর দেহ। ২৯ বছরের ওই যুবকের স্ত্রীর অভিযোগে ছয় চিকিৎসক-সহ আট জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের জেরা করছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সিমরনদীপ সিংহ ব্রার। তিনি ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মুক্তসারের লাখেওয়ালি গ্রামের শাখার ম্যানেজার ছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে গিয়েছিলেন তিনি। ওই রাতে শেষ বার স্ত্রী আমনদীপ কৌরের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। এর পর আর খোঁজ মেলেনি সিমরনদীপের। ১৮ অক্টোবর খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। এর পরেই ছয় চিকিৎসক এবং দু’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন আমনদীপ।

এফআইআরে আমনদীপ জানিয়েছেন, ওই আট জনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর স্বামী সিমরনদীপের। ধৃত কাকু সান্ধুর আবোহরের বাংলোয় প্রায়ই পার্টি করতেন তাঁরা। কাকু চিকিৎসক নন। আমনদীপের দাবি, তাঁর স্বামীর থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কাকু। সেই টাকা ফেরত চাইলে বচসা শুরু হয় দু’জনের। তাঁর আরও দাবি, সিমরনদীপ যে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, সেখান থেকে ঋণ নিয়েছিলেন অভিযুক্ত চিকিৎসকেরা। ১৬ অক্টোবর কাকুর বাংলোয় গিয়েছিলেন সিমরনদীপ বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। আমনদীপের দাবি, সে সময় একটি পার্টির আয়োজন করেছিলেন কাকু এবং ওই ছয় চিকিৎসক। ওই দিন রাত ১১টার সময় স্বামীর সঙ্গে শেষ বার কথা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন আমনদীপ। পরের দিন দুপুর ২টোর সময়ও যখন বাড়ি ফেরেননি সিমরনদীপ, তখন কাকুকে ফোন করেন তাঁর স্ত্রী। কাকু জানান, তাঁরা সকলে একটি ধাবায় খেতে গিয়েছেন, সেখান থেকে পরে ফিরে আসবেন। চিকিৎসক সন্দীপ সাধু দাবি করেন, সিমরনদীপ তাঁর বাড়িতে ঘুমিয়ে রয়েছেন।

এর পরেই থানায় খবর দেন সিমরনদীপের বাবা দর্শনসিংহ ব্রার। পুলিশ সিমরনদীপের মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান দেখে খোঁজ শুরু করে। পরে খাল থেকে উদ্ধার হয় দেহ। এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত আট জনকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement