Sister of Mohammed Shami

একশো দিনের কাজের তালিকায় শামির বোন! তদন্ত উত্তরপ্রদেশে, কত টাকা মজুরি পেয়েছেন তিনি?

ক্রিকেটার মহম্মদ শামির বোনের বিয়ে হয়েছে উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলায়। সেখানে এক গ্রামপ্রধানের পুত্রবধূ তিনি। গ্রামে বড় বাড়ি রয়েছে প্রধানের। পুত্র এবং পুত্রবধূর জন্য রয়েছে ফ্ল্যাটও।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ১৯:৫১
মহম্মদ শামি।

মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।

ক্রিকেটার মহম্মদ শামির বোন এবং শ্যালকের নাম রয়েছে একশো দিনের কাজের উপভোক্তার তালিকায়! এই প্রকল্পের আওতায় একজন ‘শ্রমিক’ হিসাবে নথিভুক্ত রয়েছে শামির বোন শাবিনার নাম। ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের টাকাও পেয়েছেন তিনি। ‘এবিপি নিউজ়’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

শাবিনা এবং তাঁর স্বামী থাকেন উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলায়। প্রতিবেদন অনুসারে, দম্পতি গত তিন বছর ধরে এই প্রকল্পে ধারাবাহিক ভাবে মজুরির টাকা পেয়ে আসছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে পদক্ষেপ করেছে প্রশাসনও। আমরোহার জেলাশাসক নিধি গুপ্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ পদক্ষেপেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

প্রতিবেদন অনুসারে, আমরোহার পালাউলা গ্রামে বিয়ে হয় শাবিনার। তিনি ওই গ্রামের প্রধান গুলে আয়েশার পুত্রবধূ। গ্রামে একটি প্রাসাদোপম বাড়িও রয়েছে তাঁদের। এ ছাড়া গ্রামপ্রধান উত্তরপ্রদেশের জোয়া শহরে পুত্র এবং পুত্রবধূকে একটি ফ্ল্যাটও উপহার দিয়েছেন। ২০১৯ সালে বিয়ের পর থেকে শহরের ওই ফ্ল্যাটেই স্বামীর সঙ্গে থাকেন শাবিনা। অথচ তাঁরা একশো দিনের কাজের প্রকল্পে মজুরি পেয়ে গিয়েছেন! দাবি করা হচ্ছে, ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত শাবিনা ৩৭৪ দিন কাজ করেছেন এবং তাঁর অ্যাকাউন্টে প্রায় ৭০ হাজার টাকা গিয়েছে। তাঁর স্বামীও প্রায় ৩০০ দিন কাজ করেছেন এবং বদলে প্রায় ৬৬ হাজার টাকা গিয়েছে শাবিনার স্বামীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।

এই বিতর্ক নিয়ে ক্রিকেটার শামির ভাই মহম্মদ হাসিব ‘এবিপি নিউজ়’কে জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। কিন্তু তাঁদের বোন বর্তমানে বিবাহিত এবং দূরে অন্য একটি গ্রামে থাকেন। তাঁর নিজের পরিবার রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে শামি বা তাঁর পরিবার কোনও ভাবেই জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন হাসিব। বিষয়টির তদন্ত হলে সত্য প্রকাশ্যে আসবে বলে আশাবাদী তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন