তদন্তের জাল কি গুটিয়ে আনছে দিল্লি পুলিশ? — ফাইল ছবি।
অনুরাগ কাশ্যপের ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’ ছবিতে মানুষ কাটার দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছিল দেশ। এ বার রাজধানী দিল্লিতে সেই ঘটনারই বাস্তবায়নের পরও নির্বিকার আফতাব পুনাওয়ালা। কিন্তু পুলিশের জেরার মুখে ভেঙে পড়েছেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে জানিয়েছেন, ‘‘হ্যাঁ, আমিই ওকে মেরেছি।’’ এই প্রেক্ষিতেই এ বার পুলিশ তলব করেছে আফতাব-শ্রদ্ধার এক বন্ধুকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও চাঞ্চল্যকর সূত্র মিলতে পারে বলে মনে করছেন দিল্লির পুলিশের কর্তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাব জেরার মুখে যা যা বলছেন, তার সত্যতা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। তদন্তকারীদের একটি অংশ মনে করছে, যে ভাবে ঠান্ডা মাথায় গোটা ঘটনা ঘটিয়েছেন আফতাব, তাতে পুলিশের জেরার মুখে পড়েই তিনি গড়গড় করে সত্য উগরে দিচ্ছেন, ব্যাপারটি এতটা সরল না-ও হতে পারে। তাই মূলত যাচাই করতেই শ্রদ্ধা-আফতাবের ‘কমন ফ্রেন্ড’কে তলব।
কিন্তু কে সেই ‘কমন ফ্রেন্ড’? পুলিশ মনে করছে, সেই ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের পুরোটাই জানেন। তদন্তের স্বার্থেই পুলিশ তাঁর পরিচয় জানায়নি। কিন্তু জানানো হয়েছে, এই ব্যক্তিই শেষ পর্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন। কিন্তু একটা সময়ের পর থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। সেই খবর শ্রদ্ধার বাবার কাছেও তিনিই পৌঁছে দিয়েছিলেন। আফতাবের বলা বয়ানে বিশেষ কিছু মিসিং লিঙ্ক রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। শ্রদ্ধা-আফতাবের ওই বন্ধু সেই মিসিং লিঙ্ককে সম্পূর্ণতা দিতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, খুনের জন্য মাত্র একটি ধারালো অস্ত্রই ব্যবহার করেছিলেন আফতাব। কিন্তু এখনও সেই ধারালো কাটারির সন্ধান পায়নি পুলিশ। পাশাপাশি, শ্রদ্ধা জীবিত রয়েছেন, সমাজের কাছে এটা তুলে ধরতে লিভ ইন সঙ্গীর সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্টও আফতাব ব্যবহার করতেন। সে বিষয়ে তাঁদের ‘কমন ফ্রেন্ড’ আলোকপাত করতে পারবেন বলে মনে করছে পুলিশ।