Shraddha Walker murder case

শ্রদ্ধাকে খুনের নেপথ্যে ‘লভ জিহাদ’! আফতাবের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ

মহারাষ্ট্রের তরুণী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রেমিক আফতাব পুনাওয়ালাকে। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানালেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়াকার।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৩৬
আফতাবের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানালেন শ্রদ্ধার বাবা।

আফতাবের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানালেন শ্রদ্ধার বাবা। ফাইল চিত্র।

মহারাষ্ট্রের তরুণী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের ঘটনার নেপথ্যে কি ‘লভ জিহাদ’-এর তত্ত্ব রয়েছে? মেয়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে এমন সন্দেহই দানা বেঁধেছে শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়াকারের মনে। শ্রদ্ধাকে নৃশংস ভাবে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করে কেটে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক আফতাবের বিরুদ্ধে। মেয়ের এই পরিণতিতে স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন শ্রদ্ধার বাবা। আফতাবের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

একটি ডেটিং সাইটের মাধ্যমে শ্রদ্ধা ও আফতাবের আলাপ হয়েছিল। পরে সেই আলাপ প্রেমে গড়ায়। প্রেমিককে নিয়ে এক সঙ্গে থাকবেন বলে ঘর ছেড়েছিলেন শ্রদ্ধা। ভিন্‌‌ ধর্মের ছেলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক তৈরি হোক, প্রথম থেকেই চাননি শ্রদ্ধার বাবা-মা। কিন্তু, প্রেমের টানে বাবা-মার আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই ঘর ছেড়েছিলেন শ্রদ্ধা। যাঁর জন্য ঘর ছেড়েছিলেন শ্রদ্ধা, সেই প্রেমিকের হাতেই খুন হতে হল তাঁকে।

Advertisement

গত ১০ নভেম্বর মেয়ের হদিস না পেয়ে মুম্বই পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছিলেন শ্রদ্ধার বাবা। প্রেমিকের সঙ্গে শ্রদ্ধা থাকতেন দিল্লিতে। তাই ওই অভিযোগ দিল্লি পুলিশকে জানানো হয়। এর পরই আফতাবকে পাকড়াও করা হয়। জেরা চলাকালীন খুনের কথা স্বীকার করেন আফতাব। বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন শ্রদ্ধা। এ নিয়ে অশান্তির জেরেই তাঁকে খুন করেছেন বলে দাবি করেছেন আফতাব। তদন্তে নেমে পুলিশ এ-ও জানতে পারে যে, শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ কেটে ৩৫টি টুকরো করা হয়। তার পর সেগুলি বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে।

সংবাদ সংস্থাকে মহারাষ্ট্রের পালঘর নিবাসী শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মঙ্গলবার খুনের নেপথ্যে ‘লভ জিহাদ’-এর তত্ত্ব রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার সন্দেহ লভ জিহাদ হয়ে থাকতে পারে।’’ সেই সঙ্গে মেয়ের খুনের জন্য আফতাবের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘দিল্লি পুলিশের উপর আস্থা রয়েছে। তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে। আফতাবের সঙ্গে কখনই যোগাযোগ ছিল না। মুম্বইয়ের ভাসাইয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলাম।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে পেশায় ফুড ব্লগার আফতাবের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু হয়েছিল শ্রদ্ধার। ২০২০ সালে দিল্লিতে তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে ওই যুগল হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে গিয়েছিলেন। দিল্লির ছতরপুরে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন আফতাব। সেখানেই শ্রদ্ধাকে নিয়ে থাকছিলেন তিনি। ওই ফ্ল্যাটেই গত ১৮ মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন আফতাব। খুনের কিছু দিন আগেই আফতাব ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement