Anna University

বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, চাঞ্চল্য চেন্নাইয়ে, ২৪ ঘণ্টার মাথায় অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ

সন্ধ্যায় এক সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাসে বসে গল্প করছিলেন নির্যাতিতা। তখনই সেখানে দলবল নিয়ে পৌঁছন ওই যুবক। অভিযোগ, তাঁরা ছাত্রীর ভিডিয়ো রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫২
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

চেন্নাইয়ের অন্না বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় তদন্ত নেমে বুধবার এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, শুধু ছাত্রীকে যৌন হেনস্থাই নয়, ওই ছাত্রীর পুরুষ সহপাঠীকেও মারধর করেন অভিযুক্ত ও তাঁর সঙ্গীরা। পুরুষ বন্ধুটির সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের ভিডিয়ো রেকর্ড করে রেখে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করারও চেষ্টা করা হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ধৃতের নাম জ্ঞানসেকরন। ৩৭ বছর বয়সি ওই যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই একটি খাবারের দোকান চালান। পুলিশ জানিয়েছে, এর আগেও এক বার ক্যাম্পাসের এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে আটক হয়েছিলেন ওই যুবক। তাঁর নামে চুরি ও ডাকাতি-সহ ১৫টি মামলা রয়েছে। তবে বাকি অভিযুক্তদের এখনও খোঁজ মেলেনি। ওই ঘটনায় আরও কারা জড়িত, তা জানতে এখনও তদন্ত চলছে।

তামিলনাড়ুর প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম হল অন্না বিশ্ববিদ্যালয়। নির্যাতিতা তরুণী ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সন্ধ্যায় এক সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাসে বসে গল্প করছিলেন তিনি। তখনই সেখানে দলবল নিয়ে পৌঁছন ওই যুবক। অভিযোগ, তাঁরা ছাত্রীর ভিডিয়ো রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন। এর পর তাঁরা ছাত্রীর বন্ধুকে মারধর করেন এবং ছাত্রীকে কাছেই একটি ঝোপে টেনে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে ধরলেও তার ফোনটি এখনও পাওয়া যায়নি। ধৃতের ফোনটি খুঁজছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, ফোনটিতে আরও একাধিক ছাত্রীর ছবি কিংবা ভিডিয়ো থাকতে পারে।

ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে আরও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। নজরদারির জন্য প্রাক্তন সেনাদের নিয়োগ করার কথাও ভাবা হচ্ছে। এ বিষয়ে শীঘ্রই পুলিশের সঙ্গে একটি বৈঠকও করবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পরেই তামিলনাড়ুতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শাসকদলকে সরাসরি দুষতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। বিজেপি, এআইএডিএমকে, পিএমকে— সকলেরই নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের দল।

Advertisement
আরও পড়ুন