এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ধর্ষণে বাধা দিয়েছিল আট বছরের শিশু। সেই ‘অপরাধে’ তাকে খুন করে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বস্তাবন্দি দেহটি ফেলে দিলেন যুবক! ওই ঘটনার দু’দিন পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন অভিযুক্ত। তার আগে চলেছে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই! ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর সুজাবাদ এলাকার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সুজাবাদের বাহাদুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি বস্তায় ওই শিশুর নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সারা শরীরে ছিল বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন। পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মশার ধূপ কিনতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল শিশুটি। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম ইরশাদ। তিনি নির্যাতিতারই প্রতিবেশী ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে তাঁকে মেয়েটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। কিছু ক্ষণ পর তাঁকে একটি বস্তা নিয়ে বেরোতে দেখা যায়। এর পরেই ইরশাদের খোঁজে নির্যাতিতার পাড়ায় যায় পুলিশ। তখনই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন যুবক। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে পায়ে গুলি লাগে তাঁর। তাঁকে গ্রেফতার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বারাণসী কাশী অঞ্চলের ডিসিপি গৌরব বনসওয়াল জানিয়েছেন, জেরায় জানা গিয়েছে, ধর্ষণে বাধা দেওয়ার পরেই রাগের মাথায় আট বছরের ওই শিশুকে খুন করেন অভিযুক্ত। ভারী পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয় ওই শিশুকে। এর পর দেহটি বস্তায় ভরে একটি স্কুলের সামনে ফেলে দিয়ে আসেন ইরশাদ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।