Karnataka Assembly Election 2023

কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী, ভোটের কর্নাটকে বড় ভাঙনের শঙ্কা বিজেপিতে

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার শুক্রবার দাবি করেন, শুধু প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ নন, অন্তত ৯-১০ জন বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেসে আসতে চাইছেন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:০২
Senior BJP leader and former Karnataka Deputy Chief Minister Laxman Savadi joins

বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দলত্যাগী বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ। ছবি: পিটিআই।

দু’দফার প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর কর্নাটক বিজেপিতে শুরু হয়েছে দফায় দফায় ভাঙন। ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন একাধিক মন্ত্রী এবং বিধায়ক। টিকিট না পেয়ে শুক্রবার কংগ্রেসে যোগ দিলেন সে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা তিন বারের বিধায়ক লক্ষ্মণ সড়াভি। বেঙ্গালুরুতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর লক্ষ্মণ বলেন, ‘‘আত্মসম্মানের সঙ্গে আপস করব না বলেই কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা ভিখারি নই।’’

উত্তর কর্নাটকের প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা লক্ষ্মণ এ ক্ষেত্রে ‘আমরা’ বলে নিজের জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ‘বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক’ হিসাবে পরিচিত কর্নাটকের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী লিঙ্গায়েতদের একাংশ এ বার কংগ্রেসমুখী বলে ইতিমধ্যেই কয়েকটি জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে। টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে দক্ষিণ কন্নড় জেলার প্রভাবশালী মন্ত্রী তথা ৬ বারের বিজেপি বিধায়ক এস অঙ্গারা বৃহস্পতিবার রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গেও কংগ্রেসের ‘যোগাযোগ’ তৈরি হয়েছে।

Advertisement

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার শুক্রবার বলেন, ‘‘অন্তত ৯-১০ জন বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেসে আসতে চাইছেন। আলোচনা করে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’’ আগামী ১০ মে এক দফায় বিধানসভা ভোট হবে কর্নাটকে। ১৩ মে ফল ঘোষণা। তার আগে অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং ভাঙনের জেরে ক্ষমতাসীন বিজেপি চাপে পড়েছে বলে ভোট পণ্ডিতদের একাংশের মত। প্রসঙ্গত, ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভার এখনও পর্যন্ত ২১২টি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি।

মঙ্গলবার প্রথম দফায় ১৮৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। তাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা, প্রাক্তন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কে এশ্বরাপ্পা ও লক্ষ্মণ, মন্ত্রী এস অঙ্গারা, আনন্দ সিংহ-সহ ১০ জন বিধায়ককে ছেঁটে ফেলা হয় (তবে ইয়েদুরাপ্পার আসনে টিকিট দেওয়া হয় তাঁর ছেলেকে)। অন্য দিকে, কংগ্রেস এবং‌ জেডি (এস) ছেড়ে আসা প্রায় এক ডজন বিধায়ক পদ্ম চিহ্ন পান। বুধবার রাতে দ্বিতীয় দফায় ২৩ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। তাতে বাদ পড়েন ৭ জন বিদায়ী বিধায়ক! প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী এশ্বরাপ্পাও ইতিমধ্যে ‘স্বাস্থ্য়ের কারণে’ রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

টিকিট না পেয়ে এমপি কুমারস্বামী, নেহরু ওলেকর, গোলিহত্তি শেখরের মতো প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়করা বৃহস্পতিবার দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। রঘুপতি ভট্ট (উদুপি), সঞ্জীব মতন্দুর (পুত্তুর), এইচ শ্রীনিবাস শেট্টিরাও একই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই আবহে ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিজেপির’ দু’দফার তালিকাতেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারের হুবলি-ধারওয়াড় কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম নেই। মঙ্গলবার জগদীশ বলেছিলেন, ‘‘দল টিকিট না দিলেও আমি ভোটে লড়বই।’’ সূত্রের খবর, নির্দল প্রার্থী হওয়া আটকাতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে টিকিট দেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement