শিবকুমারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে বাধা কি এই সিবিআই তদন্তই? ফাইল চিত্র।
কর্নাটকের কুর্সিতে তিনি বসতে পারবেন কি না, তা এখনও ঠিক হয়নি। তার আগেই অস্বস্তি বাড়ল কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারের। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই মামলা অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই শুনতে চলেছে শীর্ষ আদালত।
এই মামলায় আগেই তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। কিন্তু কর্নাটক হাই কোর্ট শিবকুমারের আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে এই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। চলতি বছরের মার্চ মাসে এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থাটির বক্তব্য, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মামলায় দীর্ঘ দিন ধরে তদন্ত বন্ধ থাকতে পারে না।
২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কর্নাটকে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সিদ্দারামাইয়া। সে সময় শিবকুমার এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর শিবকুমারের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়। ওই এফআইআর-এ বলা হয়, ২০১৩ সালে শিবকুমারের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির অর্থমূল্য ছিল ৩৩.৯২ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ১৬২.৫৩ কোটি টাকা। ৫ বছরে শিবকুমারের ৫ গুণ সম্পত্তি বেড়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
কর্নাটকে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ওই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেয় কর্নাটক সরকার। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিবকুমার। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কর্নাটক হাই কোর্ট। মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।