মনমোহন সিংহকে শেষ শ্রদ্ধা রাহুল গান্ধীর। ছবি: পিটিআই।
সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে কেন্দ্র আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ তুললেন রাহুল গান্ধী। শনিবার সমাজমাধ্যমে লোকসভার বিরোধী দলনেতা লেখেন, “আজ দিল্লির নিগমবোধ ঘাট শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ভারতমাতার মহান সন্তান এবং প্রথম শিখ ধর্মাবলম্বী প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে অপমান করেছে কেন্দ্র।”
রাহুলের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত দেশের সব প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট স্মৃতিসৌধ বা অন্ত্যেষ্টিস্থলে হলেও মনমোহনের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। মনমোহনের জন্য নির্দিষ্ট ‘সমাধিস্থলে’ শেষকৃত্য সম্পন্ন হলে প্রতিটি মানুষ বিনা বাধায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারতেন। এই প্রসঙ্গে রাহুল সমাজমাধ্যমে লেখেন, “মনমোহন সিংহ সর্বোচ্চ সম্মান এবং নির্দিষ্ট ‘সমাধিস্থল’ পাওয়ার যোগ্য। সরকার দেশের এই মহান সন্তানকে সেই সম্মান দেখাতে পারত।
নিগমবোধ ঘাট শ্মশানে মনমোহনের শেষকৃত্যের সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই আপত্তি জানাচ্ছে কংগ্রেস। তাদের প্রশ্ন, এর আগে দেশের কোনও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য এই শ্মশানে হয়েছে কি? কংগ্রেসের দাবি ছিল, যমুনার তীরে রাজঘাটের আশপাশের কোনও জমিতে মনমোহনের শেষকৃত্য হোক, যেখানে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, অটলবিহারী বাজপেয়ীদের স্মৃতিসৌধ রয়েছে। নিগমবোধ ঘাটে শেষকৃত্য হলেও ওই স্থান স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উপযুক্ত নয় বলে দাবি করে তারা।
স্মৃতিসৌধ নিয়ে বিতর্কের মাঝে শুক্রবার বেশি রাতে একটি বিবৃতি দেয় অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তারা জানায়, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের কাছ থেকে মনমোহনের স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য জায়গার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সেই আবেদন গ্রহণ করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে মনমোহনের পরিবার এবং খড়্গের সঙ্গে কথাও বলেছেন বলে জানানো হয়। মনমোহনের পরিবারকে জানানো হয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিসৌধের জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হবে। তবে তার আগে ওঁর শেষকৃত্য এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হোক। কারণ, এ ব্যাপারে একটি ট্রাস্ট তৈরি করা দরকার। সেই ট্রাস্টকে জায়গা বরাদ্দ করবে কেন্দ্র।