Puri Jagannath Mandir Mahaprasad

এ বার জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদেরও শুদ্ধতা যাচাই, তিরুপতির লাড্ডু-বিতর্কের মাঝেই সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের

শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিরুপতির লাড্ডু নিয়ে চাপানউতরের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৩০
জগন্নাথ মন্দির।

জগন্নাথ মন্দির। —ফাইল চিত্র।

তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদ নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কের মাঝেই ওড়িশা সরকার এবং শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (এসজেটিএ) জানিয়ে দিল, এ বার জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদেরও বিশুদ্ধতা যাচাই করা হবে। মূলত পুরীর মন্দিরের বিখ্যাত এই মহাপ্রসাদের মান নিয়ন্ত্রণ করতেই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিরুপতির মন্দিরে লাড্ডু নিয়ে চাপানউতরের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগের লক্ষ্য, মহাপ্রসাদে ঘিয়ের মতো উপাদানের বিশুদ্ধতা খতিয়ে দেখা। হরিচন্দন বলেন, ‘‘তিরুপতির মন্দিরে কিছু অবঞ্ছিত বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। আমরা পুরীতে এই ধরনের কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। তাই আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পুরীর মহাপ্রসাদের গুণমান যাচাই করে দেখতে চাইছি।’’ তিনি জানিয়েছেন, মহাপ্রসাদ তৈরিতে ব্যবহৃত ঘি-সহ সমস্ত উপাদান মন্দিরের রান্নাঘরে প্রবেশের আগে পরীক্ষা করে দেখা হবে। মহাপ্রসাদ তৈরির পর আরও এক বার যাচাই করে দেখা হবে প্রসাদের মান।

এ ছাড়াও, পুরীর মন্দিরের আনন্দবাজারে, যেখানে প্রসাদ বিক্রি করা হয়, সেখানে কাজকর্মের তদারকির জন্য ইতিমধ্যেই প্রাক্তন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শীঘ্রই সেখানে খাদ্য পরিদর্শকদেরও নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ড়ু। তাঁর অভিযোগ ছিল, জগন্মোহন রেড্ডির সরকারের আমলে তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ব্যবহৃত ঘি-তে ভেজাল মেশানো হত। গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির জুলাইয়ের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে চন্দ্রবাবু দাবি করেন, তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশুর চর্বি। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। ওয়াইএসআর কংগ্রেস অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং চন্দ্রবাবুর মন্তব্যকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ ব্যাপারে চিঠিও লেখেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। তাঁর অভিযোগ, তিরুপতি মন্দিরের মর্যাদা ও পবিত্রতা নষ্টের চেষ্টা করেছেন চন্দ্রবাবু। লাড্ডু বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। গত শুক্রবারই এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে মামলা দায়ের করেন যে, প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিশিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement