Manipur Unrest

ফের উত্তপ্ত মণিপুর, জিরিবামে কুকি-মেইতেই সংঘর্ষ, চলল গুলি, বন্ধ চূড়াচাঁদপুর, কংপোকপিও

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ জিরিবাম জেলার লোয়ার মংবুংয়ের মেইতেই গ্রামে আশপাশের পাহাড় এবং ঘন জঙ্গল থেকে গুলি চালাতে শুরু করে আততায়ীরা। দুপুর পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:১০
অশান্ত মণিপুরে বন্ধ দোকানপাট।

অশান্ত মণিপুরে বন্ধ দোকানপাট। — ফাইল চিত্র।

ফের অশান্ত মণিপুর। শনিবার মণিপুরের জিরিবাম জেলায় নতুন করে কুকি-মেইতেই সংঘর্ষ হয়েছে। গুলি চলেছে লোয়ার মংবুংয়ের মেইতেই গ্রামে। তবে রাত পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

Advertisement

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ জিরিবাম জেলার লোয়ার মংবুংয়ের মেইতেই গ্রামে আশপাশের পাহাড় এবং ঘন জঙ্গল থেকে গুলি চালাতে শুরু করে আততায়ীরা। দুপুর পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রামের নারী, শিশু এবং বয়স্কদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অন্য দিকে, শনিবার ছিল চূড়াচাঁদপুর এবং কংপোকপি জেলায় বন্‌ধের দ্বিতীয় দিন। শনিবার গোটা দিন বন্ধ ছিল দোকানপাট। সেখানে কুকি-জো গোষ্ঠী রবিবার পর্যন্ত বন্‌ধের ডাক দিয়েছে। নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংহের মন্তব্যের বিরোধিতায় আইটিএলএফ এবং কুকি ছাত্র সংগঠন (কেএসও)-এর ডাকে চলছে এই বন্‌ধ। গত ২০ সেপ্টেম্বর কুলদীপ দাবি করেছিলেন, মায়ানমার থেকে মণিপুরে প্রবেশ করেছে প্রায় ৯০০ কুকি জঙ্গি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গায় ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে মণিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পর গত ৬ সেপ্টেম্বর বিষ্ণুপুর জেলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেরেম্বাম কোইরেংয়ের বাড়িতে রকেট হামলা হয়। তার পর দফায় দফায় হামলা চলেছে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। বিভিন্ন এলাকা থেকে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

মণিপুরের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি, মণিপুরের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ পদত্যাগ করছেন না। বরং আলোচনা চলছে কুকি ও মেইতেই দু’পক্ষের সঙ্গে। বীরেনও বলেছেন, ‘‘আমি কেন পদত্যাগ করব? আমি কোনও ভুল করিনি।’’

অন্য দিকে, মণিপুর কংগ্রেসের দাবি, রাজ্যে হিংসা, অশান্তি চলছেই। কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে আলোচনা চলার কোনও প্রমাণ নেই। কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি কে দেবব্রত সিংহ বলেছেন, “অমিত শাহের দাবির কোনও সত্যতা নেই। কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে শান্তি ফেরাতে বাস্তবে আলোচনা হওয়ারও কোনও প্রমাণ নেই।’’

আরও পড়ুন
Advertisement