জবলপুরের সভায় কংগ্রেস নেতা কমল নাথ এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। ছবি: পিটিআই।
মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রচার শুরু করে দিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। সোমবার জবলপুরে দুর্নীতি, কর্মসংস্থানে ব্যর্থতার মতো বিষয়ে বিজেপিকে নিশানা করলেন তিনি। জবলপুরের সমাবেশে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার গত তিন বছরে রাজ্যে মাত্র ২১ জনকে সরকারি চাকরি দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মানুষ গত ১৮ বছর ধরে বিজেপির হাতে ব্যবহৃত হচ্ছেন।’’
প্রিয়ঙ্কার সমাবেশ উপলক্ষ্যে সোমবার গোটা জবলপুর শহর এবং আশপাশের এলাকা গদা দিয়ে সাজিয়েছিল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে কর্নাটকে বিজেপির ‘আলি বনাম বজরংবলী’ প্রচার মুখ থুবড়ে পড়ার পরে কৌশলগত অবস্থান থেকেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের নির্বাচনী ইস্তাহারে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে সে রাজ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব শাখা বজরং দলের উপর বিধিনিষেধ জারি করা হবে। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপি প্রচারসভায় বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেস আগে রামনামের উপর বিধিনিষেধ জারি করতে সক্রিয় ছিল, এখন তারা ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগানকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইছে।’’ বক্তৃতায় ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগানও দিয়েছিলেন তিনি।
কংগ্রেসের সেই নির্বাচনী ইস্তাহারের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছিল সঙ্ঘ পরিবারের সংগঠনগুলি। জবলপুরে এমনই এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে উত্তেজিত জনতা কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করেছিল বলে অভিযোগ। প্রিয়ঙ্কা সোমবার সেই জবলপুরেই কংগ্রেসের সমাবেশ থেকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপিকে। বলেন, ‘‘হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটকের মানুষ বিজেপির দুর্নীতি আর অপশাসনের জবাব দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশও দেবে।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির দেড় দশকের শাসন শেষ করার রায় দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশের জনতা। নির্বাচনে গরিষ্ঠতা পেয়েছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন কমলনাথ। কিন্তু ১৫ মাসের মাথাতেই জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের অনুগামী প্রায় দু’ডজন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়ায় কমল সরকারের পতন ঘটে। আবার মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির শিবরাজ সিংহ চৌহান।