উত্তরপ্রদেশে এক বধূর উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
উত্তরপ্রদেশের এক বধূর উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। অন্তত দু’বার তাঁর উপর অ্যাসিড হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওই মহিলার। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল বছর তিনেক আগে। তখন দুই পরিবার বসে বিষয়টি মিটমাট করে নিয়েছিল। থানাপুলিশ হয়নি। সম্প্রতি ফের ওই বধূর উপর অ্যাসিড হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বুলন্দশহরের ওই মহিলার ১১ বছর আগে বিয়ে হয় গ্রেটার নয়ডায়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করা হত মহিলার উপর। বছর তিনেক আগে ওই মহিলা এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। সেই সময়ে মহিলার উপর প্রথম বার অ্যাসিড হামলা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ফের এক বার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর গায়ে অ্যাসিড ছুড়েছেন বলে অভিযোগ আক্রান্ত মহিলার। এই নিয়ে বুলন্দশহরের সিনিয়র পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
আক্রান্ত মহিলা জানান, তিন বছর আগে তিনি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। সেই সময় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর আরও বেশি করে অত্যাচার শুরু করেন বলে অভিযোগ। পুলিশকে ওই মহিলার পিতা অভিযোগ জানান, কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার কারণে তাঁর মেয়ের উপর অ্যাসিড হামলা করা হয়েছিল তিন বছর আগে। তখন বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আর থানাপুলিশ করেননি। দুই পরিবার মিলে মিটমাট করে নিয়েছিল বিষয়টি। শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও আশ্বস্ত করেছিলেন এই ধরনের ঘটনা আর হবে না।
কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি। দু’বছর আগে ওই মহিলা এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ, সেই সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সম্প্রতি অন্য এক মহিলাকে বাড়িতে এনে তাঁর সঙ্গে থাকতে শুরু করেছেন স্বামী। গত দু’মাস ধরে অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে বাপের বাড়ির লোকেদের ফোনে কথাও বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেই কারণে বাপের বাড়ির লোকেরা গ্রেটার নয়ডায় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান। তখন তাঁরা দেখেন, মেয়ের হাত এবং কাঁধ পুড়ে গিয়েছে। এর পরেই তাঁরা মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অ্যাসিড হামলার অভিযোগও জানান পুলিশের কাছে।
বুলন্দশহরের সিনিয়র পুলিশ সুপার শ্লোক কুমার জানিয়েছেন, মহিলা এবং তাঁর পিতা একটি অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর রুজু করা হয়েছে। মহিলার শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।