Narendra Modi

এক দেশ, এক পুলিশি উর্দি! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে মোদীর সওয়ালে নয়া বিতর্কের জন্ম?

ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও মোদী জমানায় একাধিক বার রাজ্যের অধিকারের উপরে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এ বারও কি তেমন পরিস্থিতি হবে?

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৩২
হরিয়ানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে মোদীর বক্তৃতা।

হরিয়ানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে মোদীর বক্তৃতা। ছবি: পিটিআই।

দেশের সব রাজ্যের পুলিশবাহিনীর জন্য একই রকম উর্দির সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘সম্ভব হলে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ‘এক দেশ, এক পুলিশ উর্দি’ নিয়ে আলোচনা করা উচিত।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উদ্যোগে হরিয়ানার সুরজকুণ্ডে বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যার পোশাকি নাম দিয়েছে ‘চিন্তন শিবির’। সেই শিবিরে আমন্ত্রিতদের সামনে ভিডিয়ো-বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি এখন একটি রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কারণ অপরাধ আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে।’’ সীমান্তপার থেকে আসা সন্ত্রাস এবং অপরাধচক্রের প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে, মোদী রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার উপরেও জোর দেন।

Advertisement

ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও মোদী জমানায় যে ভাবে রাজ্যে ঘটে যাওয়া অপরাধের তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যের অধিকারের উপরে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ বলে সরব বিরোধীরা। শুক্রবার মোদীর ‘অভিন্ন পুলিশি উর্দির’ ঘোষণার পর তা আরও তীব্র হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে নতুন করে বিতর্কের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নিজেও ওয়াকিবহাল। শুক্রবার তাঁর বক্তৃতাতেও এক আঁচ মিলেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা রাজ্যগুলির দায়িত্ব, কিন্তু এগুলি জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতার সঙ্গেও যুক্ত।’’ ঘটনাচক্রে, অতীতে একতরফা সিদ্ধান্তে এনআইএ তদন্ত এবং ইডির ক্ষমতাবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও একই ভাবে ‘জাতীয় স্বার্থের’ যুক্তি দিয়েছিল কেন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement