Johnson & Johnson

কেন নিষেধাজ্ঞা জনসনের বেবি পাউডারে? মহারাষ্ট্র সরকারের জবাব তলব করল বম্বে হাই কোর্ট

সেপ্টেম্বরে মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর তরফে জনসন অ্যান্ড জনসন-এর তৈরি শিশুদের ট্যালকম পাউডারের লাইসেন্স বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ১১:৫৬
জনসনের বেবি পাউডারে কোপ মহারাষ্ট্র সরকারের।

জনসনের বেবি পাউডারে কোপ মহারাষ্ট্র সরকারের। ফাইল চিত্র।

জনসন অ্যান্ড জনসন-এর শিশুদের ট্যালকম পাউডারের লাইসেন্স বাতিলের সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আগামী ৯ নভেম্বর শুনানি হবে হাই কোর্টে। তার আগে শনিবার এ বিষয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের জবাব তলব করেছে হাই কোর্ট।

সেপ্টেম্বরে মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-এর তরফে আমেরিকার সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন-এর তৈরি শিশুদের ট্যালকম পাউডারের লাইসেন্স বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পাউডার উৎপাদক সংস্থাটি।

Advertisement

এর আগে এফডিএ-র তরফে প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, জনসন অ্যান্ড জনসন পাউডার সদ্যোজাত শিশুদের ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় এই সংস্থার তৈরি শিশুদের পাউডারের নমুনাগুলিতে যে মাত্রায় ‘পিএইচ’ পাওয়া গিয়েছে তা সদ্যোজাত শিশুদের ত্বকে ব্যবহার জন্য উপযুক্ত নয়। রাজ্যের এফডিএ ওই পাউডারের গুণগত মান পরীক্ষা করার সময় ধরা পড়েছে, ‘পিএইচ’-এর মাত্রা নির্ধারিত মানের তুলনায় অনেকটাই বেশি। কলকাতা-ভিত্তিক ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরি’তে তৈরি রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত পৌঁছেছিল মহারাষ্ট্রের এফডিএ। নাসিক ও পুণে থেকে পাউডারের নমুনা সংগ্রহ করেই এই পরীক্ষা করা হয়েছিল।

যদিও জনসন অ্যান্ড জনসন কর্তৃপক্ষ ওই রিপোর্ট মেনে নেননি। তাঁরা মহারাষ্ট্রের সরকারের ওই রিপোর্টটির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে নমুনা সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান। ঘটনাচক্রে, কয়েক মাস আগেই জনসন অ্যান্ড জনসন ঘোষণা করেছে, ২০২৩ সাল থেকে পৃথিবীর কোথাও আর শিশুদের গায়ে মাখানোর ট্যালকাম পাউডার উৎপাদন করবে না তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement