বজরংবলীর নামে জয়ধ্বনি দিয়ে কর্নাটকে সভা শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
কর্নাটকের জনসভায় ‘বজরংবলী কি’ বলে কিছু সময়ের জন্য থামলেন প্রধানমন্ত্রী। সমবেত জনতা সমস্বরে বলে উঠল ‘জয়’। বুধবার বিজেপির প্রচারাভিযান বজরংবলীর নামে জয়ধ্বনি দিয়ে শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদী। মোদীর বজরংবলী শরণের নেপথ্যে রাজনৈতিক অঙ্কই দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা। গত মঙ্গলবারই নিজেদের নির্বাচনী ইস্তাহারে কংগ্রেস জানিয়েছিল, তারা কর্নাটকে ক্ষমতায় এলে বজরং দল কিংবা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর মতো ধর্মীয় প্ররোচনা সৃষ্টিকারী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে। তার পরই কংগ্রেসের সমালোচনায় সরব হন বিজেপি নেতারা। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রীও।
বুধবার কর্নাটকের মুদবিদরিতে জনসভা করেন মোদী। সভামঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে মোদী বলেন, “সমাজে শান্তি থাকলে কংগ্রেস শান্তিতে থাকতে পারে না। দেশের উন্নতি হলে কংগ্রেস তা সহ্য করতে পারে না।” কংগ্রেসের গোটা রাজনীতিটাই ‘বিভাজন এবং শাসন’ নীতির উপর দাঁড়িয়ে আছে বলে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। সভার শুরুতেই ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলে স্লোগান দেন তিনি। তার পরই তাঁর মুখে শোনা যায় বজরংবলীর নামে স্লোগান।
মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে জানান হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের পাশাপাশি, কট্টরপন্থী মুসলিম গোষ্ঠী পিএফআই-এর বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি রয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহারে। ইস্তাহার থেকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস জাতি এবং ধর্মের ভিত্তিতে সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং নির্ণায়ক পদক্ষেপ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ কংগ্রেসের ইস্তাহারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুর চড়ায় বিজেপি। হসপেট এলাকায় ভোটের প্রচারে গিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসের ইস্তাহারের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেস আগে রামনামের উপর বিধিনিষেধ জারি করতে সক্রিয় ছিল, এখন তারা ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগানদাতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইছে। এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।’’ কংগ্রেসের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরং দলের সদস্যেরাও।