One Nation One Election

লোকসভায় বিল পেশ হওয়ার পর কী কী হবে? পাশ হলে কবে থেকে হবে এক দেশ এক ভোট?

লোকসভায় বিল দু’টি পেশ হওয়ার পর তা পাঠানো হবে সংসদের যৌথ কমিটিতে। কমিটি বিল দু’টি বিবেচনা করে দেখবে। যৌথ কমিটিতে কোন দলের কত জন থাকবেন, তা নির্ভর করবে লোকসভায় ওই দলের মোট সাংসদের উপর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:২০
নির্বাচনের সময় ভোটারের আঙুলে কালি দিচ্ছেন ভোটকর্মী।

নির্বাচনের সময় ভোটারের আঙুলে কালি দিচ্ছেন ভোটকর্মী। —ফাইল চিত্র।

মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ হবে ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত দু’টি বিল। বিল দু’টি কবে আইনে পরিণত হবে, কবে থেকে কার্যকর হবে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চর্চা চলছে গত কয়েক দিন ধরেই। জন্মেছে বিবিধ কৌতূহলও। তবে বিল সংসদে পাশ হলেও তা কার্যকর হতে এখনও অনেকটা সময় লাগতে পারে। যদি কোনও পরিবর্তন বা সংশোধনী ছাড়া বিল দু’টি সংসদে পাশ হয়ে যায়, তা হলে ‘এক দেশ, এক ভোট’ ২০৩৪ সাল থেকে কার্যকর করা যেতে পারে।

Advertisement

লোকসভায় বিল দু’টি পেশ হওয়ার পর তা পাঠানো হবে সংসদের যৌথ কমিটিতে। সেই কমিটি বিল দু’টি বিবেচনা করে দেখবে। এ ক্ষেত্রে যৌথ কমিটিতে কোন দলের কত জন সদস্য থাকবেন, তা নির্ভর করে লোকসভায় ওই দলের মোট সাংসদের উপর। সূত্রের খবর, এই যৌথ কমিটির মেয়াদ থাকতে পারে ৯০ দিন। পরে প্রয়োজন হলে তা বৃদ্ধি করা হতে পারে। বিল দু’টিতে কোথাও কোনও সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা বিবেচনা করে দেখবে এই কমিটি। এর পরে বিল দু’টি নিয়ে ভোটাভুটি হবে লোকসভায়। পাশ হলে তা রাজ্যসভায় পাঠানো হবে। সেখানে পাশ হলে, পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।

এই নিয়ম কার্যকর করতে অনেক দিন ধরেই একটু একটু করে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে কেন্দ্র। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ব্যবস্থা এ দেশে চালু হলে, তা কতটা বাস্তবসম্মত হবে— সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত মার্চ মাসে কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। কোবিন্দ কমিটির সুপারিশের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বিল দু’টি তৈরি করা হয়েছে।

মোট দু’টি বিল রয়েছে ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিষয়ক— সংবিধান (১২৯তম সংশোধনী) বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল। সূত্রের খবর, বিল দু’টিতে যে সংশোধনীর কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ এবং লোকসভায় মেয়াদকে একই সময়ের মধ্যে নিয়ে আসা। অর্থাৎ, লোকসভা এবং বিধানসভাগুলি মেয়াদ একই সঙ্গে শুরু হবে, একই সঙ্গে শেষ হবে। তবে এই বিষয়গুলি ২০৩৪ সালের আগে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কমই।

কারণ, কোবিন্দ কমিটির সুপারিশে একটি ‘অ্যাপয়েন্টেড ডেট’-এর কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, নির্বাচনের পর নতুন লোকসভার প্রথম অধিবেশনের সময়ে রাষ্ট্রপতি একটি নির্দিষ্ট দিনের কথা ঘোষণা করবেন। ওই দিনের পর থেকে গঠিত রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ লোকসভার সঙ্গেই শেষ হবে। সে ক্ষেত্রে নতুন লোকসভা গঠন হবে ২০২৯ সালে। তার পরে রাষ্ট্রপতি ‘অ্যাপয়েন্টেড ডেট’ ঘোষণা করবেন। ফলে ২০৩৪ সালের আগে এই বিল কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদি ২০২৯ সালের লোকসভা গঠনের পর রাষ্ট্রপতি এই দিন ঘোষণা করেন, তবে ওই তারিখের পর যে রাজ্য সরকারগুলি গঠিত হবে, সেগুলির মেয়াদ লোকসভার মেয়াদের সঙ্গেই শেষ হবে। এ ক্ষেত্রে অনেক রাজ্যে পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদ না-ও পেতে পারে বিধানসভাগুলি।

Advertisement
আরও পড়ুন