India-China

লাদাখ সীমান্তে অচলাবস্থা কাটাতে আবার বৈঠকে ভারত এবং চিন সেনা, সমাধান মিলল কি?

২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে দুই বাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে ডিসএনগেজমেন্ট এবং ডিএসক্যালেশন সংক্রান্ত পদক্ষেপের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৩ ২১:২৮
No breakthrough in 19th India-China Corps Commander talks to resolve Eastern Ladakh standoff

পূর্ব লাদাখের এলএসিতে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। — ফাইল চিত্র।

পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-র প্রতিটি ‘সঙ্ঘাতপূর্ণ ক্ষেত্রে’ উত্তেজনা কমাতে দ্রুত ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র বিষয়ে ভারতের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডেপসাং, ডেমচকের-এর মতো এলাকা থেকে চিনা ফৌজের সরার বিষয়ে ‘ইতিবাচক আশ্বাস’ মেলেনি বলেই সেনা সূত্রে মঙ্গলবার জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী শীতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না বলে

Advertisement

গত ১৩-১৪ অগস্ট দক্ষিণ-পূর্ব লাদাখে চুশুল-মলডো পয়েন্টে আয়োজিত কোর কমান্ডার স্তরের ১৯তম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন ভারতীয় সেনার লেহ্‌-স্থিত ১৪ নম্বর কোরের (ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোর) জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাশিম বালি। চিনা ফৌজের তরফে আলোচনায় অংশ নেন শিনজিয়াং মিলিটারি রিজিয়নাল কমান্ডার। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশিকা মেনে খোলামেলা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে মতামত বিনিময় হয়েছে বৈঠকে।’’

২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে দুই বাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে ডিসএনগেজমেন্ট এবং ডিএসক্যালেশন সংক্রান্ত পদক্ষেপের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল। ওই বছরের ৫ জুলাই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং এবং চিনা বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ইর ভার্চুয়াল বৈঠকের পরে পূর্ব লাদাখের কয়েকটি এলাকায় তা কার্যকরী হয়। কিন্তু প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণের কিছু এলাকায় এবং ডেপসাং এলাকায় এখনও চিনা ফৌজ পিছিয়ে যায়নি বলে সেনা সূত্রের খবর।

Advertisement
আরও পড়ুন