—প্রতীকী ছবি।
২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি) হার নিম্নমুখী হওয়ার ইঙ্গিত দিল কেন্দ্রের আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট। আসন্ন অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি, আগামী বছরও শ্লথ হতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির গতি।
শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ঠিক তার আগের দিন ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করল কেন্দ্র। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের অর্থনীতির মৌলিক ভিত্তিগুলি যথেষ্ট শক্তিশালী রয়েছে। বিদেশি মুদ্রা ভান্ডারও যথেষ্ট। রাজস্ব একত্রীকরণ এবং স্থিতিশীল বেসরকারি খরচ পরিলক্ষিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারসাম্য বজায় রেখে ২০২৬ আর্থিক বছরে জিডিপির হার ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন কমেছে বলে জানিয়েছে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট। এর জন্য বিশ্ব জুড়ে দুর্বল চাহিদা এবং আবহাওয়ার খামখেয়ালিকে দায়ী করেছেন সমীক্ষকেরা। আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, স্থিতিশীল অভ্যন্তরীণ চাহিদার জেরে বেসরকারি খরচ খুব বেশি বাড়েনি। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চাহিদা নিম্নমুখী হওয়ায় উৎপাদনের সূচক নেমেছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল, তা আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে। ২০২৫ অর্থবর্ষের শেষ তিন মাসে এটি হ্রাস পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। খারিফ শস্য বাজারে এলে সব্জির দাম হ্রাস পাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
২০২৬ আর্থিক বছরের প্রথমার্ধে রবি শস্যের ফলন যথেষ্ট বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার আরও নিম্নমুখী হবে বলে দাবি করেছেন সমীক্ষকেরা। এ ছাড়া লগ্নির ক্ষেত্রে মন্দা এসেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও একে অস্থায়ী বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন অর্থবর্ষে (পড়ুন ২০২৫-’২৬) এর সূচক ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে জানিয়েছে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট।