77th Independence Day

চলতি বছরেই অসম থেকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হতে পারে ‘আফস্পা’, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের

উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে জঙ্গি তৎপরতা মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনীর হাতে বাড়তি ক্ষমতা তুলে দিতে ১৯৫৮ সালে আফস্পা আইন জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৩ ২০:৫৭
Himanta Biswa Sarma says, Assam government aims to ‘completely withdraw’ AFSPA from state by 2023 end

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

চলতি বছরের মধ্যেই অসমের সবক’টি জেলা থেকে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট বা আফস্পা) প্রত্যাহার করা হবে। মঙ্গলবার ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে এ কথা জানালেন, সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে অসমের আটটি জেলায় আফস্পা কার্যকর রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, চলতি বছরের মধ্যেই তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়া।’’

Advertisement

মণিপুরে সাম্প্রতিক গোষ্ঠীহিংসার প্রেক্ষিতে হিমন্তের এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে জঙ্গি তৎপরতা মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনীর হাতে বাড়তি ক্ষমতা তুলে দিতে ১৯৫৮ সালে আফস্পা আইন জারি করেছিল কেন্দ্র। গত বছরের গো়ড়া পর্যন্ত উত্তর-পূর্বে এখন গোটা অসম, নাগাল্যান্ড, রাজধানী ইম্ফল বাদে মণিপুরের বাকি এলাকা ও অরুণাচলের তিন জেলায় আফস্পা বলবৎ ছিল। এর পর ধাপে ধাপে অসম-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের পর্ব শুরু করে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

গত বছর এপ্রিলে অসমের ২৪টি জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল ওই আইন। এর পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী উত্তর-পূর্বাঞ্চল সফরে গিয়ে বলেছিলেন, “অসম তথা উত্তর-পূর্বে নাশকতা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। উন্নত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। তাই অসমের অধিকাংশ জেলা, নাগাল্যান্ড, এবং মণিপুরের বিভিন্ন অংশে আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, উত্তর-পূর্বের যে সব এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বা নাশকতার সমস্যা নেই, সেই এলাকাগুলি থেকে পর্যায়ক্রমে আফস্পা তুলে নেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement