গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নাম না করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ‘বুলডোজ়ার নীতি’র সমালোচনা করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। পাশাপাশি, ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে ‘নির্বিচারে ধরপাকড়ের’ ঘটনারও নিন্দা করেছেন তিনি। ‘হিংসা এবং নিপীড়নে’ রাশ টানার জন্য সরকারের দায়বদ্ধতার পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দিয়েছেন, দেশের প্রতিটি ব্যক্তিরই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি মঙ্গলবার বলেন, ‘‘নির্বিচারে সম্পত্তি ধ্বংস এবং গ্রেফতারির ঘটনা ন্যায়বিচারের পথে অন্তরায়।’’ নয়াদিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের উপস্থিতিতে চন্দ্রচূড়ের এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘আমাদের সংবিধানে বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। যাতে শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলি সাংবিধানিক সীমারেখার মধ্যে কাজ করে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিচারবিভাগের।’’ দেশের সব মানুষের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেওয়ার পথে বাধাগুলি দূর করাই আদালতের সামনে সবচেয়ে বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, আদালত ‘অপরাধী’ ঘোষণার আগেই আদিত্যনাথ সরকার উত্তরপ্রদেশে গোষ্ঠীহিংসায় অভিযুক্ত নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিদের সম্পত্তি বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নীতি বলবৎ করেছেন বলে অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং তাঁদের সঙ্গে আরও একাধিক বিশিষ্ট নাগরিক শীর্ষ আদালতের কাছে এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন। আইনজীবীদের একাংশের মতে সে দিকে ইঙ্গিত করেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় মঙ্গলবার বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের বার, দেশের শীর্ষস্থানীয় বার হিসাবে আইনের শাসন রক্ষার পক্ষে দাঁড়াবে।’’