দাউদ এখন পাকিস্তানের করাচিতে লুকিয়ে রয়েছেন বলে খবর। — ফাইল ছবি।
দাউদ ইব্রাহিম, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছোটা শাকিল এবং ওই গোষ্ঠীর আরও তিন সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। শনিবার এক বিবৃতি দিয়ে এনআইএ জানিয়েছে, মুম্বই ও দেশের অন্য জায়গায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য অনুদানও সংগ্রহ করেছিলেন ওই পাঁচ জন।
প্রসঙ্গত, দাউদ আর শাকিল— দু’জনেই এখন পাকিস্তানে লুকিয়ে রয়েছেন। বাকি তিন জন, আরিফ আবু বকর শেখ ওরফে আরিফ ভাইজান, শাব্বির আবু বকর শেখ, মহম্মদ সেলিম কুরেশি ওরফে সেলিম ফ্রুটকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এনআইএর মুখপাত্র ওই বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘তদন্তে দেখা গিয়েছে এই পাঁচ জনই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ডি কোম্পানির সদস্য। বেআইনি কাজ কর্মের মাধ্যমে সন্ত্রাস ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করছিলেন তাঁরা। হুমকি দিয়ে, খুনের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা হাতাতেন তাঁরা। আর এর সবটাই হত দাউদের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, দেশের মানুষের মনে ভয় ধরানো।’’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘তদন্তে এ-ও দেখা গিয়েছে, ফেরার অভিযুক্তদের কাছ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে প্রচুর টাকা পেতেন তিন ধৃত। মুম্বই এবং দেশের অন্য প্রান্তে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য এই টাকা পাঠানো হত।’’
লস্কর-এ-তইবা প্রধান হাফিজ সইদ, জইশ-এ-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার, হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনের সঙ্গেই ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’-এর তালিকায় রয়েছেন দাউদ। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দাউদের মাথার দাম গত অগস্টে ২৫ লক্ষ টাকা ধার্য করেছে এনআইএ। এর আগে ২০০৩ সালে দাউদের মাথার দাম ২৫ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ২০৪ কোটি টাকা।
গত ফেব্রুয়ারিতে দাউদ এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। অভিযোগ, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ীদের নিশানা করছে দাউদের ‘ডি কোম্পানি’। দেশে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছে তারা। তদন্তে নেমে ২৯টি জায়গায় তল্লাশি চালায় এনআইএ। হাজি আলি, মাহিম দরগার ট্রাস্টি সুহেল খান্ডওয়ানির মতো ব্যক্তিকে জেরা করে। এ বার চার্জশিট পেশ করল তারা।