NEET Aspirant's Death

পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার ভয়েই কি আত্মঘাতী দেবদর্শিনী? চেন্নাইয়ে নিট পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারে রহস্য

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৪ মে পরীক্ষা। পঞ্চম বারের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দেবদর্শিনী। কিন্তু এ বার অনেক বেশি চাপের মধ্যে ছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ০৯:১৭
নিট পরীক্ষার্থীর দেহ উদ্ধার চেন্নাইয়ে। প্রতীকী ছবি।

নিট পরীক্ষার্থীর দেহ উদ্ধার চেন্নাইয়ে। প্রতীকী ছবি।

এক মাস পরেই ছিল নিট সর্বভারতীয় মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)। কিন্তু তার আগেই চেন্নাইয়ে এক পরীক্ষার্থীর দেহ উদ্ধারের ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। শনিবার দেবদর্শিনী নামে এক নিট পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে গত আট বছরে ২০ জন নিট পড়ুয়ার আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ঘটল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দেবদর্শিনী। এর আগে চার বার এই পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু প্রতি বারই ব্যর্থ হন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৪ মে পরীক্ষা। পঞ্চম বারের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দেবদর্শিনী। কিন্তু এ বার অনেক বেশি চাপের মধ্যে ছিলেন। পরীক্ষা নিয়ে মানসিক চাপের কথা বাড়ির লোককেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে বাড়ি থেকে নানা ভাবে বোঝানো হয়। মানসিক চাপ না নেওয়ার কথাও বলা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, দেবদর্শিনীর বাবা সেলভারাজের বেকারির দোকান রয়েছে কিলমবক্কমে। আগে তাঁর দোকান চেন্নাইয়ে ছিল। কিন্তু আর্থিক অনটনের জেরে সেই দোকান বন্ধ করে দিতে হয়। তার পর সেলভারাজ কিলমবক্কমে চলে আসে পরিবার নিয়ে। সেখানেই আবার বেকারি খোলেন। শনিবার বাবার দোকানে এসেছিলেন দেবদর্শিনী। কিছু ক্ষণ সময় কাটিয়ে বাবাকে বলেন যে তিনি বা়ড়ি যাতে চান। দোকানে দেবদর্শিনীর মা-ও ছিলেন। দু’জনকে এ কথা জানিয়েই দোকান ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিলেন যে, ঘণ্টাখানেক পরেই আবার ফিরে আসবেন। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দেবদর্শিনী দোকানে না ফেরায় তাঁকে ফোন করা হয়। ফোন বেজে যাচ্ছিল। কন্যা কেন ফোন তুলছেন না, চিন্তায় পড়ে যান দেবদর্শিনীর বাবা-মা। তাঁর মা বাড়িতে চলে আসেন। ঘরে ঢুকতেই তিনি আঁতকে ওঠেন। দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে তাঁর কন্যার দেহ।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার ভয় কাজ করছিল দেবদর্শিনীর মধ্যে। চার বার ব্যর্থ হওয়ায় পঞ্চম বারের পরীক্ষা নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই হয়তো আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও, অন্য কোনও সম্ভাবনা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন