—প্রতীকী ছবি।
মাত্র আট বছরের মধ্যেই লাখের বেতন থেকে কোটির বেতনে পৌঁছোলেন এক তরুণ। চাকরির শুরুতে বছরে ৪.৭ লাখ টাকা বেতন পেতেন ওই তরুণ। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে তাঁর নিরলস পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের ফলে তিনি বর্তমানে ২.৩ কোটি টাকা বেতন পাচ্ছেন। তাঁর চাকরিজীবনের অভিজ্ঞতার কথা তিনি রেডিটের পোস্টে ভাগ করে নিয়েছেন। বর্তমানে পুণের বাসিন্দা ওই তরুণের দাবি, ‘ফ্যাং’ (ফেসবুক বা মেটা, অ্যাপ্ল, অ্যামাজ়ন, নেটফ্লিক্স এবং গুগ্ল এই পাঁচটি প্রধান মার্কিন সংস্থাগুলির সংক্ষিপ্ত নাম) সংস্থাগুলিতে চাকরি করার পর এই বেতনকাঠামোয় পৌঁছোতে পেরেছেন তিনি।
কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি অর্জন করার পর ওয়েব প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি ভালবাসা থেকে এইচটিএমএল, জাভা স্ক্রিপ্ট, সিএসএস ব্যবহার করে ১০০টি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে যোগ দিয়ে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করেন ওই তরুণ। সেই হাতেকলমের অভিজ্ঞতাই তাঁকে প্রথম চাকরির সুযোগ এনে দিয়েছিল বলে জানান তিনি। তার পর থেকে ক্রমাগত ডেটা স্ট্রাকচার এবং অ্যালগরিদমের উপর নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে শুরু করেন। এ ছাড়া চাকরি বদলের ক্ষেত্রেও কৌশল নেন। এই বিষয়টি তাঁর পরবর্তী চাকরিগুলিতে বেতনবৃদ্ধিতেও সহায়তা করেছে বলে দাবি তাঁর।
তবে এই যাত্রা খুব একটা সহজ ছিল না পোস্টদাতার পক্ষে। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টে দক্ষতার কারণে তিনি একটি পরিষেবাভিত্তিক স্টার্ট-আপে প্রথম চাকরি পেয়েছিলেন। তার পর তিনি একটি পণ্যভিত্তিক স্টার্ট-আপে চলে আসেন, সেখানেই তিনি বেতন তিন গুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন। এর পর ‘ফ্যাং’য়ের সংস্থাগুলিতে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। সেখানে যোগ দিয়ে ২৬ লক্ষ টাকা বেতনে কাজ শুরু করেন। তার পর অন্য একটি ফ্যাং সংস্থায় বছরে ৪৫ লক্ষ টাকার বেতনে প্রস্তাব পান। সেখানে কাজের দক্ষতার কারণে দ্রুত পদোন্নতি ঘটে তাঁর। ধারাবাহিক সাফল্যের কারণে তার বার্ষিক বেতন ১.৩ কোটি টাকা বৃদ্ধি পায়। ফ্যাংয়ের সেই চাকরি ছেড়ে তরুণ জানিয়েছেন, সম্প্রতি একটি বহুজাতিক সংস্থায় ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দিয়েছেন তিনি। সেখানেই প্রায় আড়াই কোটি টাকার বেতন ধার্য হয়েছে তরুণের। তাঁর এই পোস্ট ঘিরে প্রচুর প্রতিক্রিয়া জমা পড়েছে।