Mark Zuckerberg Remarks

‘পর্যবেক্ষণ সত্য কিন্তু...’, ভারতের নির্বাচন নিয়ে জ়ুকেরবার্গের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইল মেটা ইন্ডিয়া

মঙ্গলবার যোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান নিশিকান্ত দুবে, মেটার কর্ণধার জ়ুকেরবার্গের মন্তব্যটি তুলে ধরেন। তিনি জানান, ভুল তথ্যের জন্য মেটাকে তলব করবেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:২৮
Meta India apologizes for Mark Zuckerberg\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s remark on India election

মোটাকর্তা মার্ক জ়ুকেরবার্গ। —ফাইল চিত্র।

নির্বাচন নিয়ে মেটা কর্তা মার্ক জ়ুকেরবার্গের সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এমনকি, জ়ুকেরবার্গের মন্তব্যের কারণে মেটা কর্তৃপক্ষকে ভারতের যোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটি তলব করতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছিল। এ হেন পরিস্থিতিতে ভারতের মেটা কর্তৃপক্ষ জ়ুকেরবার্গের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন। তাঁরা জানান, মেটা কর্তার পর্যবেক্ষণ বেশ কয়েকটি দেশের জন্য সত্য হলেও ভারতের জন্য নয়।

Advertisement

মেটা ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট শিবনাথ ঠুকরাল বলেন, ‘‘অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। মেটার জন্য ভারতের অভাবনীয় গুরুত্ব রয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা এই বন্ধনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’’

মঙ্গলবার যোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মেটা কর্ণধার জ়ুকেরবার্গের মন্তব্যটি তুলে ধরেন। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ভুল তথ্যের জন্য তাঁর কমিটি মেটাকে তলব করবে। নিশিকান্তের বক্তব্য, কোনও গণতান্ত্রিক দেশের বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়ালে সেটি দেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে। এই ভুলের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ভারতের সংসদের কাছে এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও জানান নিশিকান্ত। তার পরই মেটা ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হল। এর পরই নিশিকান্তের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই ক্ষমা ১৪০ কোটি ভারতীয়র জয়।’’

কী নিয়ে বিতর্ক? গত শুক্রবার সাক্ষাৎকারে জ়ুকেরবার্গ করোনা পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। তাঁর মতে, কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারের উপর থেকে মানুষের আস্থা সরে গিয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই সময়েই তিনি বলেন, “২০২৪ সালে ছিল বড় বড় নির্বাচনের বছর। ভারতের মতো বিভিন্ন দেশে নির্বাচন হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীন দলগুলি হেরে গিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির জন্যই হোক বা করোনা মোকাবিলায় আর্থিক নীতি কিংবা করোনা মোকাবিলার পদ্ধতির কারণেই হোক— বিশ্বব্যাপী একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়েছে বলে অনুমান করা যায়।”

Advertisement
আরও পড়ুন