Delhi Liquor Policy Case

শাহের মন্ত্রকের অনুমোদন পেল ইডি, কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া চালাতে বাধা রইল না

কেজরীওয়ালের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সরকারের সম্মতি ছাড়া আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। সেই অনুমোদনই মিলল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:২১
Home Minister grants ED approval to prosecute Arvind Kejriwal in liquor policy case

(বাঁ দিকে) অমিত শাহ এবং অবরিন্দ কেজরীওয়াল (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবে ইডি। মিলল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদন। দিন কয়েক আগেই দিল্লির উপরাজ্যপাল (লেফটেন্যান্ট গভর্নর) ভিকে সাক্সেনা এ ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছিলেন। এ বার অমিত শাহের মন্ত্রকের তরফে ইডি সেই অনুমোদন পেল। ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিপদ বাড়ল আপ প্রধানের।

Advertisement

গত বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট কেজরীওয়ালের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। এর আগে ইডির কোনও মামলায় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সম্মতির প্রয়োজন হত না। তার ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচারের অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিল্লির উপরাজ্যপালকে চিঠি লেখে। সেই চিঠিতে ইডি দাবি করে, আবগারি মামলায় ‘কিংপিন এবং মূল ষড়যন্ত্রকারী’ কেজরীওয়ালই!

আবগারি মামলায় গত জুলাই মাসে ২০০ পাতার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছিল ইডি। তাতে কেজরীওয়াল এবং দিল্লির শাসকদল আপকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। নিম্ন আদালত জানিয়েছিল, কেজরীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার মতো যথেষ্ট তথ্য ওই চার্জশিটে আছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। হাই কোর্টে তাঁর আবেদন ছিল, জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আগে থেকে সরকারের অনুমতি নিতে হয়, যা ইডি নেয়নি। সেই আবহেই নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট ইডিকে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

কেজরীকে ইডি গ্রেফতার করেছিল গত ২১ মার্চ। একই মামলায় সিবিআই তাঁকে ২৬ জুন ‘শোন অ্যারেস্ট’ (গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে নতুন করে হেফাজতে নেওয়া) করে। দু’টি ক্ষেত্রেই সুপ্রিম কোর্ট তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। জেল থেকে বেরিয়ে কেজরী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে। তার মধ্যেই শাহের মন্ত্রকের অনুমোদনে বিপাকে পড়লেন কেজরীওয়াল।

Advertisement
আরও পড়ুন