United National Liberation Front (UNLF)

মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি করল মেইতেই জঙ্গিগোষ্ঠী, শাহ বললেন, ‘ঐতিহাসিক’

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মঙ্গলবার মণিপুরের হিংসায় জড়িত ন’টি মেইতেই গোষ্ঠীর উপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আরও পাঁচ বছর বাড়াতে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ইম্ফল শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ২০:১০

ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

হিংসার আবহেই কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সই করল মণিপুরের জঙ্গি সংগঠন ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’ (ইউএনএলএফ)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, বুধবার চুক্তি সইয়ের পরেই মেইতেই জঙ্গি গোষ্ঠী ইউএনএলএফের গেরিলারা অস্ত্র সমর্পণ শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘‘মণিপুরে শান্তি ফেরানোর পথে এটি ঐতিহাসিক মাইলফলক।’’

Advertisement

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মঙ্গলবার মণিপুরের হিংসায় জড়িত ন’টি মেইতেই গোষ্ঠীর উপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধি করতে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক। ওই ট্রাইব্যুনালের নেতৃত্বে রয়েছেন গুয়াহাটি হাই কোর্টের এক বিচারক। গত ছ’মাসের হিংসা পর্বে এই সংগঠনগুলি প্রত্যক্ষ ভাবে সশস্ত্র হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ।

তাই বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরের জন্য সংগঠনগুলিকে চলতি মাসেই পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই তালিকায় নাম ছিল না ইউএনএলএফের। ষাটের দশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম মেইতেই রাষ্ট্রের দাবিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংগঠন। বর্তমানে সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন মণিপুরি রাজবংশের সন্তান আরকে মেঘেন ওরফে সানা ইয়াইমা এবং একদা জনপ্রিয় মণিপুরি গায়ক তথা সংগীতকার নংমৈথেন পাহাড়ি।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত মেইতেই সংগঠনগুলির মধ্যে রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র রাজনৈতিক শাখা ‘রেভেলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট’ (আরপিএফ), ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’ (ইউএনএলএফ)-এর সশস্ত্র শাখা মণিপুর পিপলস আর্মি (এমপিএ), ‘পিপলস রেভোলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাক’ (প্রিপাক)-এর সশস্ত্র শাখা ‘রেড আর্মি’ এবং ‘কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি’ (কেসিপি)-র সশস্ত্র শাখা ‘কাংলেইপাক রেড আর্মি’।

কট্টরপন্থী মেইতেই সংগঠন ‘কাংলেই ইয়াওল কানবা লুপ’ (কেওয়াইকেএল), মেইতেই সমন্বয় কমিটি (কোর কম) এবং ‘অ্যালায়েন্স ফর সোশ্যালিস্ট ইউনিটি কাংলেইপাক’(এএসইউকে)-ও রয়েছে এই তালিকায়। চিনা মদতপ্রাপ্ত ককু-জ়ো জঙ্গিগোষ্ঠী কুকি ন্যাশনাল আর্মি, কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্ট, ইউনাইটেড কুকি লিবারেশন ফ্রন্ট মণিপুরে সাম্প্রতিক গোষ্ঠীহিংসায় জড়িত বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল শাহের মন্ত্রক। মণিপুরের সাম্প্রতিক হিংসা পর্বে মায়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী পিডিএফ-এর ‘ভূমিকা’ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement