বাঁদিক থেকে সুভাষ যাদব, লালুপ্রসাদ এবং রাবড়ি দেবী। —ফাইল চিত্র।
বিহারে ক্ষমতায় থাকাকালীন অপরাধচক্রের বাড়বাড়ন্তে মদত দিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ! এমনই অভিযোগ, তাঁর শ্যালক সুভাষ যাদবের। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘সে সময় পটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বাংলো থেকেই অপহরণ করে মুক্তিপণের পরিকল্পনা তৈরি হত!’’
লালুর মদতেই সে সময় বিহার সরকারে দুর্নীতির চক্র গড়ে উঠেছিল বলেও অভিযোগ করেছেন সুভাষ চলতি বছরেই বিহারের বিধানসভা ভোট। তার আগে লালু-পত্নী রাবড়ি দেবীর ছোট ভাইয়ের এই মন্তব্য আরজেডির অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করছেন অনেকে। হস্পতিবার সুভাষের মন্তব্যের পরেই আরজেডি মুখপাত্র এজাজ আহমেদ বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টাই বিজেপির চক্রান্ত।’’
১৯৯০ সালের বিধানসভা ভোটের পরে বিহারে জনতা দলের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন লালু। অভিযোগ, তার কিছু দিন পর থেকেই পটনায় সংবিধান-বহির্ভূত ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন তাঁর দুই শ্যালক, সাধু এবং সুভাষ যাদব। ১৯৯৭ সালে লালু জনতা দল ভেঙে আরজেডি গড়ার পরে দুই ভাইয়ের দাপট আরও বেড়েছিল। আরজেডির টিকিটে গোপালগঞ্জ থেকে সাংসদ হয়েছিলেন সাধু। সুভাষ প্রথমে বিধান পরিষদ এবং তার পর রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন।
পশুখাদ্য মামলায় গ্রেফতারির জেরে লালু মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর পটনার কুর্সিতে বসেছিলেন তাঁর স্ত্রী রাবড়ি। অভিযোগ, সেই সময়ে ব্যবসায়ীদের থেকে নিয়মিত তোলা আদায় করতেন দুই ভাই। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ধীরে ধীরে সাধু-সুভাষকে দল থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ। তেজস্বীও তাঁর দুই মামাকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন দেননি। পরবর্তী সময় সাধু-সুভাষকে আরজেডি বিরোধী প্রচারেও অংশ নিতে দেখা গিয়েছে।