Jangipur Chaos

ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় পুলিশের গাড়িতে আগুন! দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র জঙ্গিপুর

ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় সংখ্যালঘু ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকে আন্দোলন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল বিকেলে। জঙ্গিপুরের ওমরপুর মোড় থেকে ধুলিয়ান বাজার পর্যন্ত একাধিক জায়গায় জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে সংখ্যালঘু ছাত্র সংগঠন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:২৭
Jangipur Incident

পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। —নিজস্ব চিত্র।

ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। সংখ্যালঘু ছাত্রযুবদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াল পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল থেকে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ালেন আন্দোলনকারীরা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল পুলিশের গাড়িতে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় সংখ্যালঘু ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকে আন্দোলন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল বিকেলে। জঙ্গিপুরের ওমরপুর মোড় থেকে ধুলিয়ান বাজার পর্যন্ত একাধিক জায়গায় জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে সংখ্যালঘু ছাত্র সংগঠন। কয়েক হাজার ইসলামিক সংগঠনের ছাত্রযুব বিক্ষোভে শামিল হন। তাতে অবরুদ্ধ হয় ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক। স্তব্ধ হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের সড়কপথে যোগাযোগ। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। রাস্তায় আটকে যায় অ্যাম্বুল্যান্স থেকে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কিছু গাড়ি। খবর পেয়ে অবরোধ তুলতে যায় পুলিশ। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের ইটবৃষ্টির মুখে পড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় পুলিশ। বাড়তি পুলিশ বাহিনী ডেকে বিক্ষোভকারীদের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে পুলিশ। শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। ওই সময় বিক্ষোভকারীরা বেশ কিছু গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। বাদ যায়নি পুলিশের গাড়িও।

অন্য দিকে, বিনা প্ররোচনায় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো এবং লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফেটে তিন বিক্ষোভকারী অসুস্থ বলে দাবি করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের কয়েক জন আহত হয়েছেন বলেও খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় পরে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।

বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা অধীর চৌধুরীর দাবি, পুলিশের বাড়াবাড়িতেই এই গন্ডগোল হয়েছে। তাঁর দাবি, পরিস্থিতি সামলাতে প্রয়োজনে সেনা নামানো হোক। অন্য দিকে, ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, গন্ডগোলের খবর পেয়ে তাঁকে ফোন করেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর নির্দেশে তিনি বুধবার ঘটনাস্থলে যাবেন। জাকিরের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। শান্তি ফিরিয়ে আনতে বলেছেন তিনি। আমি স্থানীয়দের শান্তি বজায় রাখতে বলছি। তবে এখন আমি কলকাতায় আছি। বুধবার সকালে এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠকে বসব।’’

Advertisement
আরও পড়ুন