Israel-Hamas Conflict

ট্রাম্প, নেতানিয়াহুর চাপে সুর নরম করল হামাস, যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনেই পণবন্দি মুক্তির ঘোষণা

ইজ়রায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ তুলে পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া সাময়িক ভাবে বন্ধ রেখেছিল হামাস। শনিবার থেকে আবার তা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:২৩
বাঁদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, ডান দিকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

বাঁদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, ডান দিকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকা আর ইজ়রায়েলের হুঁশিয়ারিতে সুর নরম করল হামাস। রাজি হল পণবন্দিদের মুক্তি দিতে।

Advertisement

শনিবার দুপুরের মধ্যে পণবন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, “শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে যদি সব বন্দি ফিরে না আসেন, তবে আমি বলব তা (ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি) বাতিল করতে।” তার পরেই হামাসের উদ্দেশে বলেন, “এ বার নরক নেমে আসবে।”

চাপের মুখে স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি সংগঠনটি শুক্রবার জানিয়ে দিল, যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি মেনে আগামী শনিবার তিন ইজ়রায়েলি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ইজ়রায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ তুলে পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া সাময়িক ভাবে বন্ধ রেখেছিল হামাস। তার পরেই ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর হুমকির মুখে পড়তে হয় তাদের।

কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি রাত থেকে তা কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত হিসাবে কয়েক দফায় বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া হয়েছে। ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর গাজ়া ভূখণ্ড থেকে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ইজ়রায়েলের ২৫১ জন বাসিন্দাকে পণবন্দি করেছিল হামাস। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন এখনও গাজ়ায় পণবন্দি। ইজ়রায়েলেও জেলবন্দি রয়েছেন বেশ কয়েক জন প্যালেস্টাইনি নাগরিক।

Advertisement
আরও পড়ুন