Parliament Security Breach

‘পুড়িয়ে ফেলেছি’! ধৃতদের মোবাইল কোথায়? প্রশ্নে পুলিশকে জবাব ললিতের, আর কী বললেন মূলচক্রী?

দিল্লিতে সংসদ হানার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি জেরার মুখে পুলিশকে জানিয়েছেন, বাকি চার সহযোগীর মোবাইল তাঁর কাছেই ছিল। সেগুলি পুড়িয়ে ফেলেছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:১৪
Lalit Jha the mastermind of Lok Sabha intrusion had allegedly set the mobiles on fire

(বাঁ দিকে) সংসদ হানার সেই মুহূর্ত। হানার মূলচক্রী ললিত ঝা (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই।

লোকসভায় হানা দেওয়ার জন্য যে চার জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তাঁদের সকলের মোবাইল ফোন ছিল এক জনের কাছে। তিনি আর কেউ নন, গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা। দিল্লির থানায় গিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে যিনি আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর ললিত চার জনের মোবাইল ফোনই পুড়িয়ে ফেলেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য এই কাজ তিনি করেন। আরও অনেক রকম ভাবেই তথ্য ও প্রমাণ লোপাট করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চান তদন্তকারীরা।

সে দিন ঠিক কী করছিলেন ললিত? কেনই বা তাঁর দেখা মেলেনি?

পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, সংসদ হানার ঘটনাটির ভিডিয়ো তিনি রেকর্ড করেছিলেন। তার পর সেটি ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেন। পাঠিয়ে দেন কলকাতার একটি এনজিও-তেও। ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে যাতে ঢালাও প্রচার পায়, তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তিনি।

এর পর দিল্লি থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দেন ললিত। সোজা চলে যান রাজস্থানের নাগৌরে। সেখানে তাঁর দুই বন্ধু ছিলেন। তাঁদের কাছেই আশ্রয় নিয়েছিলেন সংসদ হানার মূলচক্রী। তবে বেশি ক্ষণ সেখানে থাকেননি। ফের দিল্লি ফিরে আসেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ললিত দিল্লিতে নামেন। তাঁর সঙ্গে মহেশ নামের আরও এক যুবক ছিলেন। কর্তব্যপথ থানায় গিয়ে ললিত আত্মসমর্পণ করেন।

ললিতকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, ললিত বাকি চার জনের মোবাইল পুড়িয়ে ফেলার যে দাবি করেছেন, তা কতটা সত্য, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন তিনি ধরা দিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

পুলিশ জানিয়েছে, মহেশ নামের যে যুবক ললিতের সঙ্গে রাজস্থান থেকে দিল্লিতে আসেন, গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদ হানার ঘটনায় শামিল হওয়ার কথা ছিল তাঁরও। তিনিও গোটা চক্রান্তের কথা জানতেন। তাঁর খোঁজ চলছে। এই ঘটনার অন্য চার অভিযুক্ত, সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডেকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন