লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি। কয়েক মিনিটের কর্মকাণ্ডে তাঁরা তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন গোটা দেশে। বুধবার দুপুরে রং বোমা নিয়ে দুই যুবক সটান ঢুকে পড়েছিলেন সংসদে। লোকসভার অধিবেশন কক্ষে বেঞ্চের উপর উঠে স্লোগান দিতে দিতে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন হলুদ ধোঁয়া। সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অপরাধে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সভাকক্ষের বাইরে থেকে একই কায়দায় বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন আরও দু’জন। বৃহস্পতিবার চার অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। সেখানেই পুলিশ জানায়, লোকসভায় বিশেষ প্রচারপত্র বা ‘প্যামফ্লেট’ নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন সাগর এবং মনোরঞ্জন। তা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার সংসদে উপস্থিত ছিলেন না। থাকলে তাঁর কাছে ওই প্যামফ্লেট পৌঁছে দিতেন যুবকেরা। সংসদের বাইরে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সেই নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডের কাছেও একই প্যামফ্লেট ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কী লেখা ছিল প্যামফ্লেটে?
প্যামফ্লেটে অভিযুক্তেরা লিখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নিরুদ্দেশ! তাঁকে খুঁজে পেতে সাহায্য করলে বিশেষ পুরস্কারও দেওয়া হবে বলে লেখা হয়েছিল। লেখা ছিল, নিরুদ্দেশ প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে কোনও খোঁজ দিলে তাঁকে সুইস ব্যাঙ্ক থেকে নগদ অর্থ পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হবে।
এই তথ্য আদালতে জানিয়ে দিল্লি পুলিশের তরফে অভিযুক্তদের ১৫ দিনের জন্য হেফাজতে চাওয়া হয়। পুলিশ জানায়, মুম্বই থেকে তাঁরা হলুদ ধোঁয়াযুক্ত রং বোমাগুলি কিনেছিলেন। যে জুতোর মধ্যে সেগুলি লুকনো ছিল, তা কেনা হয়েছিল লখনউ থেকে। এই দুই জায়গাতেই অভিযুক্তদের নিয়ে গিয়ে তদন্ত করতে চায় পুলিশ। তাই অন্তত ১৫ দিন সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালত ধৃতদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।