টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসের পথে কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল চিত্র।
কর্নাটকে প্রার্থিতালিকা প্রকাশের পর থেকে বিজেপি ছাড়ার হিড়িক চলছেই। রবিবারই বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ সেত্তার। বিধানসভার স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র তুলে দেন প্রবীণ এই বিজেপি নেতা। আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু ঘোষণা করা না হলেও ঘনিষ্ঠমহলে সেত্তার জানিয়েছেন, তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন। কংগ্রেস সূত্রেও একই দাবি করা হয়েছে।
এর মধ্যেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই দাবি করেছেন, সেত্তারের মান ভাঙাতে সক্রিয় হয়েছিলেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ব্যক্তিগত ভাবে বার্তা পাঠিয়ে বিজেপি নেতাকে দিল্লিতে এসে দেখাও করতে বলেছিলেন। কিন্তু মন গলেনি সেত্তারের। বিজেপি সূত্রে খবর, ভোটমুখী কর্নাটকের হুবলি-ধারওয়ার আসন থেকে আরও একবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন ওই কেন্দ্রেরই সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক সেত্তার। কিন্তু দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। প্রার্থিতালিকা প্রকাশের পরেই দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে তোপ দেগে সেত্তার বলেন, “আমি রাজ্যে শূন্য থেকে দলটাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু কিছু দলীয় নেতা এমন পরিস্থিতি তৈরি করলেন যে দল ছাড়তে বাধ্য হলাম।”
যদিও বিজেপি সূত্রেই জানা গিয়েছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেত্তারকে দলে রাখতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এবং ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁকে দিল্লিতে ব়ড় পদ দেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে বোম্মাই বলেন, “ওঁকে বলেছিলাম অমিত শাহ দিল্লিতে আপনার জন্য বড় পদ খালি রেখেছে। নতুনদের আসন ছেড়ে দিন। আপনার পছন্দের ব্যক্তিকেই আমরা ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করব। কিন্তু উনি এই প্রস্তাবে রাজি হননি।” লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের নেতা সেত্তার দল ছাড়ায় উত্তর কর্নাটকে লিঙ্গায়েত ভোটে ভাঙন ধরতে পারে বলে আশঙ্কা বিজেপির। সব কিছু ঠিক থাকলে নিজের পছন্দের আসনেই হাত চিহ্নে দাঁড়াতে পারেন সেত্তার।