indus

শর্ত মানেনি পাকিস্তান, সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির সংশোধন চেয়ে এ বার নোটিস পাঠাল ভারত

১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি সই করেছিল দুই দেশ। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:০৯
সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি ঘিরে ফের বারত-পাক সংঘাতের সম্ভাবনা।

সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি ঘিরে ফের বারত-পাক সংঘাতের সম্ভাবনা। ফাইল চিত্র।

সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির (আইডব্লিউটি) সংশোধন চেয়ে পাকিস্তানকে নোটিস পাঠাল ভারত। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, গত বুধবার সিন্ধু জলবণ্টন প্রকল্পের কমিশনারের মাধ্যমে এ বিষয়ে ইসলামাবাদকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।

টানা ৯ বছরের আলোচনার পরে ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি সই করে ভারত ও পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। ভারত ওই জল ব্যবহার করলেও তা আটকাতে পারবে না, এই শর্তও ছিল চুক্তিতে।

Advertisement

কিন্তু কিষেণগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে ভারত জল আটকে দিচ্ছে বলে ২০১৬ সালে অভিযোগ করে পাকিস্তান। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে নিরপেক্ষ দেশের পর্যবেক্ষকের দাবি তুলেছিল ইসলামাবাদ। তা নিয়ে ঐকমত্য হওয়ার পরে একতরফা ভাবে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের দ্বারস্থ হয় তারা।

ভারতের অভিযোগ, এই একতরফা পদক্ষেপ আদতে সিন্ধু জলচুক্তির নবম ধারার লঙ্ঘন। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই চুক্তি সং‌শোধনের নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে নয়াদিল্লির দাবি। ভারতীয় কূটনীতিকদের একাংশ মনে করেন, উচ্চ অববাহিকায় থাকা রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের উচিত নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আরও সক্রিয় হওয়া। এ বার কি সেই প্রক্রিয়া শুরু করল নরেন্দ্র মোদী সরকার?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement