গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লোকসভা ভোটের আগে নতুন আয়কর দফতরের নোটিস পেয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। শুক্রবার এআইসিসির কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, ‘‘বিজেপি আয়কর আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে। ওদের কাছে ৪৬০০ কোটি টাকা জরিমানা চেয়ে আয়কর নোটিস পাঠানো উচিত।’’
অজয়ের পাশাপাশি শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। তিনি জানান, তাঁদের কাছে ১৮২৩ কোটি ৮ লক্ষ টাকা চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে আয়কর দফতরের তরফে। রমেশ বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি ‘কর সন্ত্রাস’ শুরু করেছে। ওরা বিরোধীদের আর্থিক ভাবে পঙ্গু করে দিতে চাইছে।’’
আয়কর দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষ পর্যন্ত আয়কর সংক্রান্ত রিটার্ন পর্যালোচনা করেই রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দলের কাছে টাকা চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে। বকেয়া কর, তার সুদ এবং জরিমানার অঙ্ক মিলিয়েই ওই বিপুল অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি। আয়কর আইনের ১৩(১) ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ মেলার পরেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
গত ১৩ মার্চ আয়কর আপিল ট্রাইবুনালের নির্দেশের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আবেদন দিল্লি হাই কোর্ট খারিজ করার পরেই ধারাবাহিক ভাবে পদক্ষেপ শুরু করেছে আয়কর দফতর। ওই নির্দেশের পর কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে চলতি মাসে ১৩৫ কোটি টাকা কেটে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবারও ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের কর পুনর্মূল্যায়নের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের একটি নতুন আবেদন দিল্লি হাই কোর্ট খারিজ করে দিয়েছিল। তার পরেই পাঠানো হল নতুন নোটিস। দু’টি ক্ষেত্রেই দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বেঞ্চ কংগ্রেসের আবেদন খারিজ করে।
জয়রাম শুক্রবার বলেন, ‘‘আমরা এই নোটিসগুলিতে ভয় পাব না। আরও আক্রমণাত্মক হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নামব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৮,২০০ কোটি টাকা পেয়েছে। তার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট ওই বন্ডকে অসাংবিধানিক বলেছে।’’ অন্য দিকে মাকেনের মন্তব্য, ‘‘পুরনো ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে আয়কর রিটার্ন পুনর্মূল্যায়নের নামে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত শয়তানি শুরু হয়েছে।’’