লেখক অরুন্ধতী রায়। —ফাইল চিত্র।
সামনে পাঁচ রাজ্যে ভোট। তার আগে লাদাখের পরিষদীয় নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। এই আবহে লেখক অরুন্ধতী রায় এবং কাশ্মীরের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের পুরনো একটি মামলা খুঁচিয়ে তুলতে চলেছে শাসক শিবির।
জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতার সমর্থনে কথা বলেছেন, এই অভিযোগে ২০১০ সালের একটি মামলায় অরুন্ধতী এবং শওকতের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিলেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা। দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলা এবং কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতার সমর্থনে মুখ খোলার অভিযোগ এনে অরুন্ধতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে। এত দিনে সেই মামলায় ওঁদের বিরুদ্ধে ১৫৩ক, ১৫৩খ এবং ৫০৫ ধারায় মামলা করার অনুমতি দিলেন উপরাজ্যপাল। ১৫৩ক ধারা বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো, ১৫৩খ জাতীয় সংহতির পক্ষে বিপজ্জনক কথা বলা এবং ৫০৫ ধারা ভুয়ো তথ্য, গুজব ছড়িয়ে সেনাবাহিনীকে ত্রস্ত করে তোলার চেষ্টায় প্রযুক্ত হয়। অরুন্ধতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দাবি করেছিলেন যে, ‘কাশ্মীর কোনও দিনই ভারতের অংশ ছিল না। তাকে জোর করে সেনা পাঠিয়ে দখল করা হয়েছিল। কাশ্মীরকে তার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়াই কর্তব্য।’
অভিযোগপত্রে ১২৪ ক ধারার কথাও ছিল। কিন্তু যেহেতু দেশদ্রোহ সংক্রান্ত ওই আইনে মামলা করা স্থগিত রাখতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট, তাই সেটি এখানে প্রযুক্ত হয়নি। বিরোধীদের প্রশ্ন, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের আগে মেরুকরণ, জাতীয়তাবাদের ধুয়ো তুলতেই কি ২০১০-এর মামলা এত বছর পরে খুঁজে বের করে আনা হল!