Rape

ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে ‘যৌন হেনস্থা’ ছাত্রের, ছেলেকে বাইরে পাঠিয়ে ধর্ষণ অভিযুক্তের বাবার!

ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আদালতের নির্দেশে শনিবার উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তি এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
পিলিভিট (উত্তরপ্রদেশ) শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৩৯
Representational picture of rape

স্কুলছাত্রের বাড়িতে লালসার শিকার, দাবি কিশোরীর ছাত্রীর। প্রতীকী ছবি।

বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তাকে যৌন হেনস্থা করে স্কুলের এক ছাত্র। সে সময় চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে ওই ছাত্রকে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে দেন তাঁর বাবা। এর পর তাকে ধর্ষণ করেন। নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আদালতের নির্দেশে শনিবার উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তি এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।

পিলিভিট শহরের পনেরো বছরের ওই কিশোরীর দাবি, পরীক্ষার আগে একটি ফোটোকপি দেওয়ার অজুহাতে ১৩ মার্চ তাকে বাড়িতে ডেকেছিলেন স্কুলের এক ছাত্র। তবে সেখানে গেলে তাকে যৌন হেনস্থা করে আঠারো বছরের ছাত্রটি। চিৎকার করে উঠলে ছাত্রের বাবা সেখানে হাজির হন। এর পর ছেলেকে বকাঝকা করে বাড়ির বাইরে চলে যেতে বলেন। ছাত্রটি বাইরে গেলে তার মুখে স্কার্ফ গুঁজে তাকে ধর্ষণ করেন। এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। কোনও রকমে বাড়িতে ফিরে পরিবারের সদস্যদের সব কথা জানায় সে।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১৪ মার্চ পিলিভিট পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান তারা। তবে এ নিয়ে পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। এমনকি, ১৭ মার্চ পিলিভিটের পুলিশ সুপার অতুল শর্মাকে চিঠি লিখে কিশোরীর হয়ে অভিযোগ করেন তার এক আত্মীয়া। তাতে কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি। এর পর পকসো আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

পিলিভিটের এক পুলিশ আধিকারিক নরেশ ত্যাগী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে ৪২ বছরের এক ব্যক্তি এবং তাঁর ছেলে, এই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৩৪১, ৩৫৪, ৫০৪ এবং ৫০৬ ধারায় ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি পকসো আইনের কয়েকটি ধারাও যোগ করেছি আমরা। অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement