Acid Attack

আগরা থেকে আসে অ্যাসিড, ৬০০ টাকায় কেনেন যুবক! দিল্লির ঘটনায় পুলিশকে জানাল ফ্লিপকার্ট

দিল্লিতে অ্যাসিড হামলার ঘটনায় আগরার সংস্থাকে কাঠগড়ায় তুলল ফ্লিপকার্ট। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর চোখেমুখে অ্যাসিড ছুড়ে পালান দুষ্কৃতীরা। অনলাইনে অ্যাসিড কেনা হয়েছিল ফ্লিপকার্ট থেকে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:৫০
অ্যাসিড হামলার ঘটনায় আগরার এক সংস্থাকে কাঠগড়ায় তুলল ফ্লিপকার্ট।

অ্যাসিড হামলার ঘটনায় আগরার এক সংস্থাকে কাঠগড়ায় তুলল ফ্লিপকার্ট। প্রতীকী ছবি।

দিল্লিতে স্কুলছাত্রীর উপর অ্যাসিড হামলার ঘটনায় আগরার এক সংস্থাকে কাঠগড়ায় তুলল ফ্লিপকার্ট। দিল্লি পুলিশকে তারা জানিয়েছে, ওই স্কুলছাত্রীর মুখে যে অ্যাসিড ছোড়া হয়েছে, তা ফ্লিপকার্টে বিক্রি করা হয় আগরা থেকে। ৬০০ টাকা দিয়ে অনলাইনে অ্যাসিড কেনেন অভিযুক্তরা।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, তাঁরা গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর মুখে অ্যাসিড ছোড়েন। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। দেখা গিয়েছে, অ্যাসিড হামলার পর রাস্তায় দাঁড়িয়ে কী ভাবে যন্ত্রণায় ছটফট করছে কিশোরী। তার চোখের নীচের কিছুটা অংশ অ্যাসিডে পুড়ে গিয়েছে, জানান চিকিৎসকরা। পোড়া ক্ষত রয়েছে ৭ থেকে ৮ শতাংশ।

Advertisement

এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তরা অ্যাসিড কিনেছিলেন অনলাইন ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট থেকে। ২০১৩ সালে দেশে অ্যাসিড বিক্রির উপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল কেন্দ্র। ফ্লিপকার্টে তা না মেনেই অ্যাসিড বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নানা মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফ্লিপকার্টকে নোটিস পাঠায় কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (সিসিপিএ)।

তদন্তের সুবিধার্থে ফ্লিপকার্টের কাছ থেকে অ্যাসিড কেনার বিস্তারিত তথ্য চায় দিল্লি পুলিশ। কবে কখন কত টাকা দিয়ে অ্যাসিড কেনা হয়েছিল, ফ্লিপকার্টের মাধ্যমে আসলে কারা অ্যাসিড বিক্রি করেছে, সব তথ্য জানতে চাওয়া হয়। দিল্লি পুলিশকে সেই উত্তর দিয়েছে ফ্লিপকার্ট।

দিল্লি পুলিশের এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘অ্যাসিড যিনি বিক্রি করেছেন, আগরায় তাঁর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ৬০০ টাকা দিয়ে তা কেনা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এ ক্ষেত্রে অ্যাসিড বিক্রির শর্ত মানা হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত ভাবে জানতে একটি দল পাঠানো হবে আগরায়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান থেকেই কেবল অ্যাসিড বিক্রি করা যাবে। যাঁরা অ্যাসিড কিনছেন, তাঁদের নাম ও অন্যান্য তথ্য দোকানে নথিভুক্ত করে রাখতে হবে। তা ছাড়া, অ্যাসিড কিনতে হলে পরিচয়পত্রও দেখাতে হবে বলে জানিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement