ফের ‘সংসদ চলো’র ডাক কৃষকদের। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে শুক্রবার ‘সংসদ ভবন চলো’র ডাক দিয়েছেন পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকদের একাংশ। দুপুর ১টায় পঞ্জাব এবং হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমানা থেকে কৃষকদের মিছিল শুরু হওয়ার কথা। কৃষকদের এই কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার রাত থেকে দিল্লি-পঞ্জাব এবং দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। তবে তার পরেও শুক্রবার সকালে দিল্লিতে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কৃষক সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক)-র ডাকে এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তার দাবিতে মিছিল করে সংসদ ভবনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন কৃষকেরা। তবে মাঝপথেই তাঁদের এই মিছিল আটকে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ছাড়াও ঋণ মকুব, পেনশনের বন্দোবস্ত, বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধি না-করার দাবি তুলেছেন এই কৃষকেরা। তা ছাড়াও ২০২১ সালে লখিমপুর খেরির ঘটনায় বিচারের দাবিও তোলা হয়েছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই দিল্লি লাগোয়া পঞ্জাব এবং হরিয়ানার সীমানা শম্ভু এবং খানাউড়ি সীমানায় অবস্থানে বসে রয়েছেন কৃষকদের একাংশ। কৃষক নেতা সরওয়ান সিংহ পান্ধের জানিয়েছেন, এ বার কৃষকেরা ট্র্যাক্টরের বদলে পায়ে হেঁটে মিছিল করবেন। তবে ওই এলাকায় চার বা তার বেশি জনের মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে মিছিলের অনুমতি মিলবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি খানাউড়ি সীমানা থেকে কৃষকেরা মিছিল করে দিল্লির দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছিল। সেই সময় শুভাকরণ সিংহ নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়।
সম্প্রতি বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঞার বেঞ্চ প্রতিবাদী কৃষকদের উদ্দেশে জানায়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু সড়ক অবরুদ্ধ করে সাধারণ মানুষের অসুবিধা করা ঠিক নয় বলে জানায় শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, গত সোমবার উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের একাংশ মিছিল করে সংসদে ভবনে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের নয়ডায় আটকে দেয় পুলিশ। তবে সেই দিনও ব্যাপক যানজটের কারণে অসুবিধার মুখে পড়তে হয়েছিল বহু মানুষকে।