ছবি: পিটিআই।
বার বার চাপ সৃষ্টি করে নির্বাচন পণ্ড করতে চাইছে আম আদমি পার্টি! দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের আগের দিন এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনল নির্বাচন কমিশন। সঙ্গে এও জানিয়ে দেওয়া হল, ভোটের আগে আপের এ ধরনের উস্কানিতে কোনও ভাবেই পা দেবে না নির্বাচন কমিশন।
দিল্লিতে ভোট প্রচারের শেষ দিনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন আপ প্রধান তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। প্রশ্ন তোলেন কমিশনের স্বাধীনতা নিয়েও। সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি রাজীবকে নিশানা করে কেজরী বলেন, ‘‘আজ নির্বাচন কমিশন যে ভাবে বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, তাতে মনে হচ্ছে তাদের কোনও অস্তিত্বই নেই। জনগণের প্রশ্ন, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজীব কুমারজি কোন পদ পেতে চলেছেন? তাঁকে কী ধরনের পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে?’’ ওই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কমিশন। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, আপের এই প্রচেষ্টা অনেক দিন ধরেই লক্ষ্য করেছে কমিশন। কিন্তু সংযম এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে এ সব সহ্য করে আসছে তারা। সঙ্গে এও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপের এ ধরনের উস্কানিতে পা দেবে না নির্বাচন কমিশন।
গত বেশ কিছু দিন ধরেই বিজেপি, দিল্লি পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছে কেজরী ও তাঁর দল। সোমবারই কেজরী অভিযোগ তোলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে কমিশনের একাংশের মদতে ‘হোম ভোটিং’-এর নামে কারচুপি করতে পারে বিজেপি। তাঁর দাবি, মঙ্গলবার দিল্লির বিভিন্ন বস্তিতে গিয়ে আপের ভোটারদের কাছে কমিশনের নাম করে নকল ইভিএম নিয়ে হাজির হতে পারেন বিজেপির কর্মীরা। দিল্লি পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনাও। তাঁর দাবি, বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুড়ীর পরিবার বার বার প্রকাশ্যে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না কমিশন। সেই আবহেই এ বার পাল্টা জবাব দিল নির্বাচন কমিশন।
রাত পোহালেই ভোট রাজধানীতে। বুধবার দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনে এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি হবে গণনা। দিল্লিতে প্রতিটি আসনে মুখোমুখি লড়ছে আপ, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং কংগ্রেস। তবে মূল লড়াই আপ এবং বিজেপির মধ্যেই। এমনটাই ইঙ্গিত বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার।