আপ নেত্রী আতিশী মার্লেনা। — ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই নির্বাচনী লড়াই রাজধানীতে। দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনে এক দফায় ভোট হতে চলেছে। তার আগেই জোড়া মামলায় নাম জড়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেত্রী আতিশী মার্লেনার।
মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডিসিপি জানিয়েছেন, ভোটের ঠিক আগে গোবিন্দপুরী থানায় আতিশীর বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উঠেছে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ। আপ নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সোমবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁকে প্রায় ৬০-৭০ জন আপ সমর্থকের সঙ্গে ফতেহ সিংহ মার্গের কাছে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। তাঁদের সঙ্গে ১০টি গাড়িও ছিল। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পুলিশ তাঁদেরকে বাধা দিতে গেলে জনৈক আপ সমর্থক এক কনস্টেবলকে সপাটে চড় মারেন বলে অভিযোগ। দু’জন সমর্থক মিলে ওই পুলিশকর্মীকে হেনস্থাও করেন। এর পরেই আতিশী ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই আপ সমর্থক অস্মিত এবং সাগর মেহতাকেও চিহ্নিত করে আটক করেছে পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আহত কনস্টেবলের নাম কৌশল পাল। সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনি ফতেহ সিংহ মার্গের কাছে কর্তব্যরত ছিলেন। তখনই আপ নেত্রী-সহ জনা পঞ্চাশেক আপ সমর্থক সেখানে ভিড় জমান। তাঁদেরকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বললেও তাঁরা শোনেননি। এর পর মোবাইল বার করে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে যান ওই পুলিশকর্মী। তখনই দুই আপ সমর্থক তাঁর উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ।
যদিও আতিশীর পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি নেতা রমেশ বিধুড়ীর পরিবারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনার জন্যই তাঁকে নিশানা করেছে দিল্লি পুলিশ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং দিল্লি পুলিশের সমালোচনা করে আতিশী বলেন, ‘‘প্রকাশ্যে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করছে রমেশ বিধুড়ীজির পরিবার! তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অথচ আমি তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করতেই উল্টে আমার নামে মামলা করা হল!’’ আতিশীর আরও দাবি, তাঁর দুই সমর্থককে অন্যায় ভাবে আটক করেছে পুলিশ। যদিও ডিসিপির দাবি, একই সঙ্গে রমেশের পুত্র মণীশ বিধুড়ীর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।